০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

হোস্টেলে রাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৩৮২ বার দেখা হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মোবাসসিরা তাহসিন ইরা নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দিবগত রাত ৩টার দিকে নগরীর মির্জাপুর এলাকার ‘রোজী ছাত্রী নিবাস’ হোস্টেলের সিলিংফ্যান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোবাসসিরা রাবির আইন বিভাগের ২০১৬-১৮ সেশনের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়।

আবাসিক হোস্টেল সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১টার দিকে সর্বশেষ মোবাসসিরার সঙ্গে কথা হয় তার হোস্টেলের অন্য আবাসিক ছাত্রীদের। তার পর দিবগত রাত ৩টার দিকে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে ও দরজা বন্ধ পেয়ে তারা ডাকাডাকি করেন।
পরে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান হোস্টেলের অন্য শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও আইন বিভাগের সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মতিহার থানা পুলিশ, আইন বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুল আলম প্রধান, বিভাগের আরেক অধ্যাপক এম এ হান্নান। পরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটল তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলছে। মেয়ের বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে।

মতিহার থানার এসআই ইমরান হোসেন যুগান্তরকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রোববার ভোর ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

 
 
 

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

হোস্টেলে রাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ

আপডেট: ০১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মোবাসসিরা তাহসিন ইরা নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দিবগত রাত ৩টার দিকে নগরীর মির্জাপুর এলাকার ‘রোজী ছাত্রী নিবাস’ হোস্টেলের সিলিংফ্যান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোবাসসিরা রাবির আইন বিভাগের ২০১৬-১৮ সেশনের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়।

আবাসিক হোস্টেল সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১টার দিকে সর্বশেষ মোবাসসিরার সঙ্গে কথা হয় তার হোস্টেলের অন্য আবাসিক ছাত্রীদের। তার পর দিবগত রাত ৩টার দিকে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে ও দরজা বন্ধ পেয়ে তারা ডাকাডাকি করেন।
পরে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান হোস্টেলের অন্য শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও আইন বিভাগের সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মতিহার থানা পুলিশ, আইন বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুল আলম প্রধান, বিভাগের আরেক অধ্যাপক এম এ হান্নান। পরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটল তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলছে। মেয়ের বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে।

মতিহার থানার এসআই ইমরান হোসেন যুগান্তরকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রোববার ভোর ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।