১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

১০ হাজার ভ্যাট মেশিন বসানো হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ১০৩১২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি বন্ধে ১০ হাজার মেশিন বসানো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসব মেশিন বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি নামে পরিচিত। ইএফডি হচ্ছে এক ধরনের হিসাব যন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের টাকার হিসাব এনবিআরের মূল সার্ভারে চলে যাবে। এ ব্যবস্থায় তথ্য গোপন বন্ধ হবে এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। ফলে কমবে ফাঁকি; বাড়বে রাজস্ব আয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই অর্থবছর আগে, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস পদ্ধতি চালু করা হয়। এরপর থেকে ৪ হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি চলমান রাখার পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পদক্ষেপের ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা রাখি।’

এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আহরণের ৩৭ শতাংশ।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। ঠিকমতো নজর দিলে এ খাত থেকে আদায় অনেক গুণ বাড়বে। এটা সম্ভব হবে যদি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মেশিনের আওতায় আনা যায়।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শতভাগ যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭৩ শতাংশ রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হচ্ছে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান বলেন, বর্তমানে ২৫ ধরনের ব্যবসায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক, যাদের বার্ষিক টার্নওভার বা মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ফলে ভ্যাট নিবন্ধিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনতে হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

১০ হাজার ভ্যাট মেশিন বসানো হবে

আপডেট: ১২:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি বন্ধে ১০ হাজার মেশিন বসানো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী এক বছরের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসব মেশিন বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি নামে পরিচিত। ইএফডি হচ্ছে এক ধরনের হিসাব যন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের টাকার হিসাব এনবিআরের মূল সার্ভারে চলে যাবে। এ ব্যবস্থায় তথ্য গোপন বন্ধ হবে এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। ফলে কমবে ফাঁকি; বাড়বে রাজস্ব আয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই অর্থবছর আগে, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস পদ্ধতি চালু করা হয়। এরপর থেকে ৪ হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি চলমান রাখার পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পদক্ষেপের ফলে ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা রাখি।’

এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট আহরণের ৩৭ শতাংশ।

এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি হয়। ঠিকমতো নজর দিলে এ খাত থেকে আদায় অনেক গুণ বাড়বে। এটা সম্ভব হবে যদি খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মেশিনের আওতায় আনা যায়।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শতভাগ যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭৩ শতাংশ রিটার্ন অনলাইনে দাখিল হচ্ছে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান বলেন, বর্তমানে ২৫ ধরনের ব্যবসায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব রাখা বাধ্যতামূলক, যাদের বার্ষিক টার্নওভার বা মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ফলে ভ্যাট নিবন্ধিত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় আনতে হবে।

ঢাকা/এসএ