০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে: শিবলী রুবাইয়াত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৩৫৯ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, “বাংলাদেশ ঠিক বঙ্গবন্ধু যেমনটি বলেছেন ঠিক তেমনই ‘সোনার বাংলা’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্সের (আইওএসসিও) এর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) সভা ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও গালা ডিনার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসি ও সরকারের পক্ষ থেকে এপিআরসি সভা আয়োজনের সুযোগ দেয়ার জন্য আইওএসসিও-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা ও বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকা মিত্রদের কথা স্মরণ করেন এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ঠিক বঙ্গবন্ধু যেমনটি বলেছেন ঠিক তেমনই ‘সোনার বাংলা’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।” তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আবারও বাংলাদেশে আসার অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন: ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি

গেস্টস অব অনার এর বক্তব্যে আইওএসসিও বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও এপিআরসি এর চেয়ার জনাব সিগেরু আরিজুমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের অত্যন্ত বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং জাপান ও বাংলাদেশের পতাকার সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিগত বছর জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের কথা স্মরণ করেন। বিশ্বের অর্থনীতির অত্যন্ত সংকটের এই সময়ে বিশ্বের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজ করছে বলে তিনি জানান। এপিআরসি এর মত সভার মাধ্যমে এর সদস্যদের মাঝে এক থেকে অন্যদের শেখার ও বোঝার অসাধারণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি নিখুঁত আয়োজনের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

এরপর গেস্টস অব অনার এর বক্তব্যে আইওএসসিও এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তানজিনডের সিং অনুষ্ঠানের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি পৃথিবীর ছোট-বড় অসংখ্য পুঁজিবাজার নিয়ে। গঠিত আইওএসসিও এর বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ আইওএসসিও অনেক রঙ-এ ভরা এক ক্যানভাস। এখানে বহু দেশ একত্রিত হয়ে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করছে। বিশ্বের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ পুঁজিবাজার আমাদের অর্ন্তভুক্ত। আমরা পুরো বিশ্ব জুড়েই কাজ করি এবং আমাদের তৈরি করে দেয়া মানদন্ডই বিশ্বজুড়ে অনুসরণ করা হয়। আইওএসসিও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, বাজারের বিশুদ্ধতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা- এই তিনিটি লক্ষ্য নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করছে বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং বিএসইসি ও তার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, “এপিআরসি-র মত সভা আয়োজনের সুযোগ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। বিএসইসি অতীতে অনেক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান সফলতার সাথে আয়োজন করেছে। আগামীতে আরো নিয়মিত বিরতিতে এধরনের আয়োজন হওক।” তিনি এপিআরসি সভায় আলোচিত বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন এবং পুঁজিবাজারের সাথে আলোচিত বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেন।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব ড. মসিউর রহমান বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার ঠিক পর থেকেই জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।” তিনি নিজের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে জাপান সফরের কথা স্মরণ করেন এবং জাপানের মানুষের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে ভাষা শহীদের স্মরণ করে বলেন, “বাঙালী জাতি ভাষার অধিকার নিশ্চিতে জীবন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। তার হত্যার মাধ্যমে দেশকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার আদর্শে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং আগামীতে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।” তিনি আইওএসসিও-এপিআরসি এর ভাইস চেয়ার নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে অভিনন্দন জানান।

আইওএসও-এপিআরসি সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশের সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য বিএসইসি’র উদ্যোগে সাইটসিইং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মত আইওএসও-এপিআরসি সভা আয়োজনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো পরিচিতি পাবে। একইসাথে এদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও আস্থা বাড়বে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার এর নীতিনির্ধারণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে, সংশ্লিষ্ট আইন কানুনের সাথে সমন্বয় করে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ দেশের পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে: শিবলী রুবাইয়াত

আপডেট: ০১:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, “বাংলাদেশ ঠিক বঙ্গবন্ধু যেমনটি বলেছেন ঠিক তেমনই ‘সোনার বাংলা’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্সের (আইওএসসিও) এর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) সভা ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও গালা ডিনার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসি ও সরকারের পক্ষ থেকে এপিআরসি সভা আয়োজনের সুযোগ দেয়ার জন্য আইওএসসিও-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা ও বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকা মিত্রদের কথা স্মরণ করেন এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ঠিক বঙ্গবন্ধু যেমনটি বলেছেন ঠিক তেমনই ‘সোনার বাংলা’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও প্রগতিশীল নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।” তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আবারও বাংলাদেশে আসার অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন: ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি

গেস্টস অব অনার এর বক্তব্যে আইওএসসিও বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও এপিআরসি এর চেয়ার জনাব সিগেরু আরিজুমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের অত্যন্ত বিস্তৃত ও দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং জাপান ও বাংলাদেশের পতাকার সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিগত বছর জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের কথা স্মরণ করেন। বিশ্বের অর্থনীতির অত্যন্ত সংকটের এই সময়ে বিশ্বের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজ করছে বলে তিনি জানান। এপিআরসি এর মত সভার মাধ্যমে এর সদস্যদের মাঝে এক থেকে অন্যদের শেখার ও বোঝার অসাধারণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি নিখুঁত আয়োজনের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

এরপর গেস্টস অব অনার এর বক্তব্যে আইওএসসিও এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল তানজিনডের সিং অনুষ্ঠানের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি পৃথিবীর ছোট-বড় অসংখ্য পুঁজিবাজার নিয়ে। গঠিত আইওএসসিও এর বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ আইওএসসিও অনেক রঙ-এ ভরা এক ক্যানভাস। এখানে বহু দেশ একত্রিত হয়ে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করছে। বিশ্বের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ পুঁজিবাজার আমাদের অর্ন্তভুক্ত। আমরা পুরো বিশ্ব জুড়েই কাজ করি এবং আমাদের তৈরি করে দেয়া মানদন্ডই বিশ্বজুড়ে অনুসরণ করা হয়। আইওএসসিও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, বাজারের বিশুদ্ধতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা- এই তিনিটি লক্ষ্য নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করছে বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং বিএসইসি ও তার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, “এপিআরসি-র মত সভা আয়োজনের সুযোগ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। বিএসইসি অতীতে অনেক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান সফলতার সাথে আয়োজন করেছে। আগামীতে আরো নিয়মিত বিরতিতে এধরনের আয়োজন হওক।” তিনি এপিআরসি সভায় আলোচিত বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন এবং পুঁজিবাজারের সাথে আলোচিত বিষয়গুলোর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেন।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব ড. মসিউর রহমান বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, “স্বাধীনতার ঠিক পর থেকেই জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।” তিনি নিজের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে জাপান সফরের কথা স্মরণ করেন এবং জাপানের মানুষের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন। তিনি শ্রদ্ধার সাথে ভাষা শহীদের স্মরণ করে বলেন, “বাঙালী জাতি ভাষার অধিকার নিশ্চিতে জীবন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন। তার হত্যার মাধ্যমে দেশকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার আদর্শে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং আগামীতে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।” তিনি আইওএসসিও-এপিআরসি এর ভাইস চেয়ার নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে অভিনন্দন জানান।

আইওএসও-এপিআরসি সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশের সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য বিএসইসি’র উদ্যোগে সাইটসিইং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মত আইওএসও-এপিআরসি সভা আয়োজনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো পরিচিতি পাবে। একইসাথে এদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও আস্থা বাড়বে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার এর নীতিনির্ধারণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে, সংশ্লিষ্ট আইন কানুনের সাথে সমন্বয় করে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি সহ দেশের পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

ঢাকা/টিএ