০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • / ৪২১৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদের এক দিন পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মোট ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময়ে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, করোনার প্রকোপ রোধে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ সময়ে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এছাড়া শপিংমল-মার্কেটসহ সব দোকানপাট এবং সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

সরকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর গত কয়েকবারের মতোই এবারও পোশাক কারখানা খোলা রাখা হবে কি না? জানতে চাইলে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, আমি আপনার কাছেই শুনলাম সরকার কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত কাজে এখন বাইরে আছি, এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে এ বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, আপনি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন।

সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে যোগেযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাকে ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সংগঠনটির আরেক সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখা হলে বায়াররা চলে যাবে, অর্ডার বাতিল হবে। একবার বায়ার চলে গেলে তাকে ফেরানো সম্ভব হয় না। আমরা দেখি বিজিএমইএ সভাপতি কী বলেন।

নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহম্মাদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার মোকাবিলায় সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা সহযোগিতা করব। তবে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার চেয়ে ফ্যাক্টরি খোলা রাখলে শ্রমিকদের মধ্যে করোনা কম ছড়াই, বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরব।

তারপরও সব ফ্যাক্টরি যদি বন্ধ রাখতেই হয়, তবে দেশের কারফিউ জারি চান ব্যবসায়ী এই নেতা। যাতে শ্রমিকরা কোথাও চলাচল করতে না পারে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ

আপডেট: ০৪:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদের এক দিন পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মোট ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময়ে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, করোনার প্রকোপ রোধে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ সময়ে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

এছাড়া শপিংমল-মার্কেটসহ সব দোকানপাট এবং সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

সরকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর গত কয়েকবারের মতোই এবারও পোশাক কারখানা খোলা রাখা হবে কি না? জানতে চাইলে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, আমি আপনার কাছেই শুনলাম সরকার কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগত কাজে এখন বাইরে আছি, এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে এ বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, আপনি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন।

সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে যোগেযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাকে ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সংগঠনটির আরেক সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ রাখা হলে বায়াররা চলে যাবে, অর্ডার বাতিল হবে। একবার বায়ার চলে গেলে তাকে ফেরানো সম্ভব হয় না। আমরা দেখি বিজিএমইএ সভাপতি কী বলেন।

নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহম্মাদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার মোকাবিলায় সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা সহযোগিতা করব। তবে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার চেয়ে ফ্যাক্টরি খোলা রাখলে শ্রমিকদের মধ্যে করোনা কম ছড়াই, বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরব।

তারপরও সব ফ্যাক্টরি যদি বন্ধ রাখতেই হয়, তবে দেশের কারফিউ জারি চান ব্যবসায়ী এই নেতা। যাতে শ্রমিকরা কোথাও চলাচল করতে না পারে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: