০২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

৩৭ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যরকম হাফসেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৭৫ বার দেখা হয়েছে

মাত্র কয়েকদিন দিন পরই চিরতরে ডুবে যাবে ২০২৩ সালের সূর্য। বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা বছরটি ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণের অক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ এই বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যেখানে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু ভারত বিশ্বকাপই নয়, এই বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া কাপও। এছাড়া প্রায় সব দেশেরই কম বেশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজও ছিল। সবমিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যার হিসেবে ২০২৩ সালে ওয়ানডেতে রেকর্ড হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা ২০২৩ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ৯ জানুয়ারি করাচিতে। ওই দিন মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। কাকতালীয় ব্যাপার বছরের শেষ ম্যাচটিও ছিল নিউজিল্যান্ডের। গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল বছরের বছরের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি। যেখানে কিউইদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।

সবমিলিয়ে চলতি বছর মোট ২১৮টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক পঞ্জিকাবর্ষে এবারই প্রথম ম্যাচ সংখ্যার ডাবল সেঞ্চুরি দেখল ওয়ানডে ক্রিকেট। এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার মোট ১৯১টি ওয়ানডে হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬১টি ম্যাচ হয়েছে ২০২২ সালে। আর ২০০৬ সালে হয়েছিল ১৬০টি ম্যাচ।

এ বছর ম্যাচের মতোই ওয়ানডে খেলেছেও সবচেয়ে বেশি দল। মোট ২২টি দল এ বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে। এর আগে ২০২২ ও ২০১৯ সালে ২০টি করে দল খেলেছে।

এদিকে চলতি বছরে হাফসেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ডও বটে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি টাইগাররা। তবে এরপর থেকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। যার শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি দিয়ে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে চান না তামিম!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৩৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাফসেঞ্চুরি ছুঁতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাসমান পাড়ের দেশটিতে সফরের শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত বাংলাদেশ এ বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৪৭টি। এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছিল ২০২১ ও ২২ সালে ৪৬টি।

বাংলাদেশের আগে এক বছরে ৫০ বা এর বেশি ম্যাচ খেলেছে আটটি দল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলে ২৭ বার এক পঞ্জিকাবর্ষে ম্যাচ-সংখ্যায় ৫০ ছুঁয়েছে।

১৯৯৭ সালে সবার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করে ভারত। সে বছর তারা ৫১টি ম্যাচ খেলে। এর দুই বছর পর ৯৯ সালে ৫৩ ম্যাচ খেলে নিজেদের রেকর্ড ভাঙে দলটি। সে বছর ৫১টি ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়াও।

এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভারতের কাছে। তারা ২০২২ সালে ৭১টি ম্যাচ খেলে। ওই বছর ৭ টেস্ট, ২৪টি ওয়ানডে ও ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলে ভারত। ভারতের আগে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ৬১ ম্যাচ খেলে রেকর্ড গড়েছিল।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

৩৭ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যরকম হাফসেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট

আপডেট: ০২:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

মাত্র কয়েকদিন দিন পরই চিরতরে ডুবে যাবে ২০২৩ সালের সূর্য। বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা বছরটি ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণের অক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ এই বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যেখানে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু ভারত বিশ্বকাপই নয়, এই বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া কাপও। এছাড়া প্রায় সব দেশেরই কম বেশি দ্বিপাক্ষিক সিরিজও ছিল। সবমিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যার হিসেবে ২০২৩ সালে ওয়ানডেতে রেকর্ড হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা ২০২৩ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ৯ জানুয়ারি করাচিতে। ওই দিন মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। কাকতালীয় ব্যাপার বছরের শেষ ম্যাচটিও ছিল নিউজিল্যান্ডের। গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল বছরের বছরের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি। যেখানে কিউইদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।

সবমিলিয়ে চলতি বছর মোট ২১৮টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক পঞ্জিকাবর্ষে এবারই প্রথম ম্যাচ সংখ্যার ডাবল সেঞ্চুরি দেখল ওয়ানডে ক্রিকেট। এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার মোট ১৯১টি ওয়ানডে হয়েছে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬১টি ম্যাচ হয়েছে ২০২২ সালে। আর ২০০৬ সালে হয়েছিল ১৬০টি ম্যাচ।

এ বছর ম্যাচের মতোই ওয়ানডে খেলেছেও সবচেয়ে বেশি দল। মোট ২২টি দল এ বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে। এর আগে ২০২২ ও ২০১৯ সালে ২০টি করে দল খেলেছে।

এদিকে চলতি বছরে হাফসেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ডও বটে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি টাইগাররা। তবে এরপর থেকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে তাদের। যার শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি দিয়ে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে চান না তামিম!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৩৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাফসেঞ্চুরি ছুঁতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাসমান পাড়ের দেশটিতে সফরের শেষ ওয়ানডে পর্যন্ত বাংলাদেশ এ বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৪৭টি। এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলেছিল ২০২১ ও ২২ সালে ৪৬টি।

বাংলাদেশের আগে এক বছরে ৫০ বা এর বেশি ম্যাচ খেলেছে আটটি দল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলে ২৭ বার এক পঞ্জিকাবর্ষে ম্যাচ-সংখ্যায় ৫০ ছুঁয়েছে।

১৯৯৭ সালে সবার আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করে ভারত। সে বছর তারা ৫১টি ম্যাচ খেলে। এর দুই বছর পর ৯৯ সালে ৫৩ ম্যাচ খেলে নিজেদের রেকর্ড ভাঙে দলটি। সে বছর ৫১টি ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়াও।

এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভারতের কাছে। তারা ২০২২ সালে ৭১টি ম্যাচ খেলে। ওই বছর ৭ টেস্ট, ২৪টি ওয়ানডে ও ৪০টি টি-টোয়েন্টি খেলে ভারত। ভারতের আগে ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ৬১ ম্যাচ খেলে রেকর্ড গড়েছিল।

ঢাকা/কেএ