৭১ সালের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণার রিট শুনবেন হাইকোর্ট

- আপডেট: ১১:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
- / ১০৩০১ বার দেখা হয়েছে
১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে সহায়তাকারী রাজাকার বাহিনী ছাড়া বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণার রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে সহায়তাকারী রাজাকার বাহিনী ছাড়া বাংলাদেশের সব নাগরিককে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুনভাবে সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কথায় ‘সংযত’ হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রিটে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ সব নাগরিকদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা এবং বর্তমানের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের সব নাগরিকদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে নতুন সবার নামসহ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে’
আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি লক্ষ্য করিতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য;
এখানে আমরা শব্দটি চার বার ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং তখনকার সকল জনগণই মুক্তিযোদ্ধা ছিল মর্মে ঘোষণা আবশ্যক ও নির্দেশানা প্রয়োজন।
ঢাকা/এসএইচ