০২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৮৪৫ কোটি টাকা পাচার করেছে বেক্সিমকোর ১৭ কোম্পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৭৮৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭ কোম্পানির ৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের বেশি অর্থ পাচার রয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি। রপ্তানির বিপরীতে এই অর্থ দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। ওই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিষয়টি নিয়ে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকোর ১৭ প্রতিষ্ঠান ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখের বেশি টাকা অপ্রত্যাবাসিত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার প্রকৃত সংখ্যা তদন্ত শেষে উঠে আসবে। এর মধ্যে অ্যাপোলো অ্যাপারেলসের মাধ্যমে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসের মাধ্যমে ২৪ মিলিয়ন ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলসের মাধ্যমে ২৫.০২ মিলিয়ন ডলার এবং এসেস ফ্যাশনের মাধ্যমে ২৪.৩৯ মিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন: বাজারমূল্যের চেয়ে পাঁচ গুণ কমে শেয়ার ইস্যুর উদ্যোগ বাতিল

সিআইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার কোটির বেশি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব টাকার তথ্য জানতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর পাচার করা প্রকৃত অর্থের পরিমাণ জানা যাবে।

এর আগে সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান জানিয়েছিলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি , আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩.৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ হতে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

৮৪৫ কোটি টাকা পাচার করেছে বেক্সিমকোর ১৭ কোম্পানি

আপডেট: ১১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭ কোম্পানির ৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের বেশি অর্থ পাচার রয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি। রপ্তানির বিপরীতে এই অর্থ দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা আসেনি। ওই টাকা পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানির লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিষয়টি নিয়ে অর্থ পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিআইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকোর ১৭ প্রতিষ্ঠান ৮৪৪ কোটি ৬৬ লাখের বেশি টাকা অপ্রত্যাবাসিত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার প্রকৃত সংখ্যা তদন্ত শেষে উঠে আসবে। এর মধ্যে অ্যাপোলো অ্যাপারেলসের মাধ্যমে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টসের মাধ্যমে ২৪ মিলিয়ন ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলসের মাধ্যমে ২৫.০২ মিলিয়ন ডলার এবং এসেস ফ্যাশনের মাধ্যমে ২৪.৩৯ মিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন: বাজারমূল্যের চেয়ে পাঁচ গুণ কমে শেয়ার ইস্যুর উদ্যোগ বাতিল

সিআইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার কোটির বেশি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব টাকার তথ্য জানতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর পাচার করা প্রকৃত অর্থের পরিমাণ জানা যাবে।

এর আগে সিআইডির মুখপাত্র আজাদ রহমান জানিয়েছিলেন, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি , আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩.৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ হতে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ