০৯:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

৯ মাসে এক লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ১০৩৯৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্যে পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৮২৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে চার হাজার ২৭৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

এ সময়ে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তার আগের বছরের তুলনায় ০.০৬ শতাংশ বেশি আয় করেছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ৬.০৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় আমদানিজনিত চাহিদাও বেড়েছে। তাই আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে স্বল্প পরিসরে। তবে দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কম হয়েছে। প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

বিমা, ভ্রমণ প্রভৃতি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। কভিডকালে মানুষ কম ভ্রমণ করেছে। অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি কম হওয়ায় বিমার খরচও কমে গেছে। ফলে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ডলার। গত অর্থবছর একই সময়ে তা ছিল ২৩৬ কোটি ডলার।

মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সরাসরি পড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপরও। গত অর্থছরের জুলাই-মার্চে ২৪৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। একই সময় চলতি অর্থবছরের তা সামান্য বেড়ে ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে।

ঢাকা/জেএইচ 

শেয়ার করুন

৯ মাসে এক লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি

আপডেট: ১২:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্যে পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৮২৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে চার হাজার ২৭৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

এ সময়ে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তার আগের বছরের তুলনায় ০.০৬ শতাংশ বেশি আয় করেছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ৬.০৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় আমদানিজনিত চাহিদাও বেড়েছে। তাই আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে স্বল্প পরিসরে। তবে দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কম হয়েছে। প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

বিমা, ভ্রমণ প্রভৃতি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। কভিডকালে মানুষ কম ভ্রমণ করেছে। অন্যদিকে আমদানি-রপ্তানি কম হওয়ায় বিমার খরচও কমে গেছে। ফলে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ডলার। গত অর্থবছর একই সময়ে তা ছিল ২৩৬ কোটি ডলার।

মহামারিতে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সরাসরি পড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপরও। গত অর্থছরের জুলাই-মার্চে ২৪৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। একই সময় চলতি অর্থবছরের তা সামান্য বেড়ে ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে।

ঢাকা/জেএইচ