০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশে সংকট নেই, বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৩৭২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে কোনও সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম. আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত ‘দীপ্ত আলাউদ্দীন’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এ এইচ এম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএনপি নেতাদের ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোনও পথ খোলা নাই’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, আবারও ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেন-দরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।’

হাছান বলেন, ‘এখনও দেশে কোনও সংকট নেই কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। এটি একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি দল যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতেও বারণ করছে। এটি তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিপ্রকাশ। কখন সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে তা এখন সময়ের অপেক্ষা।’

এভাবে যদি তাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়, দলের মধ্যে যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে এর মধ্যেই ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।’

২৭ জুলাই বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি যে দিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না—এ নিয়ম তো নাই। দ্বিতীয়ত বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিম্বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।

আরও পড়ুন: মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ইইউ’র উদ্বেগ

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই সংঘাত চাই না, কারণ আমরা সরকারে আছি। বরং বিএনপি সংঘাত তৈরির অজুহাত খুঁজছে। তারা যেহেতু অতীতে মানুষের সহায়-সম্পত্তি, পুলিশ, পথচারীর ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। সে দায়িত্ববোধ থেকেই ২৭ জুলাই যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মিলিতভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

দেশে সংকট নেই, বিএনপিতে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে কোনও সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম. আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত ‘দীপ্ত আলাউদ্দীন’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এ এইচ এম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএনপি নেতাদের ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোনও পথ খোলা নাই’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, আবারও ভেবেছিল সরকার মনে হয় টিকবে না। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেন-দরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।’

হাছান বলেন, ‘এখনও দেশে কোনও সংকট নেই কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। এটি একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি দল যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতেও বারণ করছে। এটি তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিপ্রকাশ। কখন সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে তা এখন সময়ের অপেক্ষা।’

এভাবে যদি তাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়, দলের মধ্যে যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে এর মধ্যেই ছোটখাটো বিস্ফোরণ হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।’

২৭ জুলাই বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি যে দিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না—এ নিয়ম তো নাই। দ্বিতীয়ত বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিম্বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।

আরও পড়ুন: মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ইইউ’র উদ্বেগ

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই সংঘাত চাই না, কারণ আমরা সরকারে আছি। বরং বিএনপি সংঘাত তৈরির অজুহাত খুঁজছে। তারা যেহেতু অতীতে মানুষের সহায়-সম্পত্তি, পুলিশ, পথচারীর ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। সে দায়িত্ববোধ থেকেই ২৭ জুলাই যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মিলিতভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

ঢাকা/এসএ