এস আলম প্রসঙ্গে যা বললো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

- আপডেট: ০১:২৯:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
- / ১০৪৬৬ বার দেখা হয়েছে
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের প্রসঙ্গ। গতকাল বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং সফরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সফরকালেই বাংলাদেশি এক গণমাধ্যম এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, তিনি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচার করেছেন এবং বিদেশে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে রিচার্ড নেফিউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এই প্রসঙ্গ টেনে মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি এখন এই দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে?
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র
জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে কিছুই বলি না। সাধারণত দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। আমরা অন্যান্য পথও বেছে নিতে পারি। যেমন-কারও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে, সহযোগী দেশকে তথ্য নিয়ৈ সহায়তা করতে পারি যেন তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা বাংলাদেশকে আহ্বান জানাই যেন তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে দুর্নীতির অপরাধীদের খুঁজে বের করে ও ব্যবস্থা নেয়।’
এর ঠিক আগেই এক প্রশ্নে পুনরায় ম্যাথু মিলারকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকবার স্পষ্ট করে বলেছি যে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথোপকথনে এটি পরিষ্কার করেছি। আমাদের এই নীতি অব্যাহত থাকবে।’
ঢাকা/টিএ