১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:১৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪২১ বার দেখা হয়েছে

মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি স্মরণে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। ভাষার মাসের প্রথমদিন বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। সবমিলিয়ে বরাবরের মতো এবারো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা যায়, এবারের মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান।

সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে হবে বইমেলা

এবার অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে।

একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট, অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বইমেলার সময়সূচি

এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

তবে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

শিশু প্রহর

প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। এছাড়া অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

১৬ বছর পর এককভাবে বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি

মাসব্যাপী বইমেলার এবারের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে বাংলা একাডেমি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও প্রতিষ্ঠানটি স্টল তৈরি করাসহ বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে।

এর আগে ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি বইমেলা এককভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পালন করেছে। মাঝখানের ১৬ বছর তৃতীয় পক্ষ বা ইভেন ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে স্টল তৈরি করাসহ সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলা একাডেমি শুধু মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছে।

নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে বইমেলা ও চারপাশ

বাংলা একাডেমি থেকে বলা হয়েছে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী

মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সময় মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। একইসঙ্গে মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধুলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১০:১৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি স্মরণে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। ভাষার মাসের প্রথমদিন বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। সবমিলিয়ে বরাবরের মতো এবারো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা যায়, এবারের মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান।

সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে হবে বইমেলা

এবার অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে।

একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট, অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বইমেলার সময়সূচি

এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

তবে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন মেলা সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

শিশু প্রহর

প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। এছাড়া অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

১৬ বছর পর এককভাবে বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি

মাসব্যাপী বইমেলার এবারের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে বাংলা একাডেমি। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও প্রতিষ্ঠানটি স্টল তৈরি করাসহ বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে।

এর আগে ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমি বইমেলা এককভাবে আয়োজনের দায়িত্ব পালন করেছে। মাঝখানের ১৬ বছর তৃতীয় পক্ষ বা ইভেন ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে স্টল তৈরি করাসহ সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলা একাডেমি শুধু মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছে।

নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে বইমেলা ও চারপাশ

বাংলা একাডেমি থেকে বলা হয়েছে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী

মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সময় মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। একইসঙ্গে মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধুলা নিবারণের জন্য পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকা/এসএইচ