০২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১০৫৮৪ বার দেখা হয়েছে

সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। বুধবার (৬ নভেম্বর)  কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হুসনে আরা শিখা জানান, একযোগে বেশি গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না। কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন না হলেও তারা টাকা তুলতে যাচ্ছেন। ফলে কিছু কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অপ্রয়োজনে বা এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে রাখার প্রবণতা না কমলে সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, সবাই তাঁর আমানতের টাকা ফেরত পাবেন। কিছুটা সময় লাগবে ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়াতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা আছে ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে।

আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

তিনি আরও বলেন, ‘আমানতকারীদের আহবান করছি, প্রয়োজনের বেশি টাকা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। আমরা সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে পাঁচ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছি। যদি আরো বেশি সাপোর্টের প্রয়োজন হয় তাহলে সে বিষয়েও বিবেচনা করা হতে পারে।’

ঋণ অনিয়ম নিয়ে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে শিখা বলেন, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ এরই মধ্যে অনেক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।

টাস্কফোর্স বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দ্বিতীয় টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয়টা পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী ও কনসালট্যান্ট নিয়োগের কাজ চলছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে এবং সামনে এই ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামবে বলেও জানান মুখপাত্র।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

‘সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়’

আপডেট: ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। বুধবার (৬ নভেম্বর)  কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

হুসনে আরা শিখা জানান, একযোগে বেশি গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না। কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন না হলেও তারা টাকা তুলতে যাচ্ছেন। ফলে কিছু কিছু ব্যাংকের তারল্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অপ্রয়োজনে বা এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে রাখার প্রবণতা না কমলে সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।

মুখপাত্র বলেন, ‘গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, সবাই তাঁর আমানতের টাকা ফেরত পাবেন। কিছুটা সময় লাগবে ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়াতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা আছে ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে।

আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

তিনি আরও বলেন, ‘আমানতকারীদের আহবান করছি, প্রয়োজনের বেশি টাকা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। আমরা সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে পাঁচ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছি। যদি আরো বেশি সাপোর্টের প্রয়োজন হয় তাহলে সে বিষয়েও বিবেচনা করা হতে পারে।’

ঋণ অনিয়ম নিয়ে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে শিখা বলেন, আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ এরই মধ্যে অনেক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।

টাস্কফোর্স বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং সংস্কারে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দ্বিতীয় টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয়টা পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী ও কনসালট্যান্ট নিয়োগের কাজ চলছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বাড়ানোর পর মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে এবং সামনে এই ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামবে বলেও জানান মুখপাত্র।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/এসএইচ