০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অভিবাসী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৭৮ বার দেখা হয়েছে

অভিবাসী পাচারে জড়িত নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা তৈরি করবে যুক্তরাজ্য সরকার। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কয়েক বছর ধরে ইংলিশ চ্যানেলে ছোট নৌকায় অভিবাসীদের আগমন রোধ করার চেষ্টা করে আসছে লন্ডন। কিন্তু গত বছর চ্যানেলে অনিয়মিত অভিবাসন আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে মোট ৩৬ হাজার ৮১৬ জন যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন; যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

গত বছর চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ জন অনিয়মিত অভিবাসী। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন এই ব্যবস্থা অবৈধ অভিবাসন, যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের পাচার প্রতিরোধে লড়াই এবং প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অভিবাসী পাচার ঠেকাতে এমন ব্যবস্থা বিশ্বে প্রথমবারের মতো নেওয়া কোনও পদক্ষেপ হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই নেটওয়ার্কগুলোকে মোকাবিলায় সাহসী এবং উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ২০২৫ সালের শেষের দিকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে চ্যানেলে বিপজ্জনক পারাপারে জড়িত ব্যক্তি এবং চক্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হবে। এছাড়া যারা অরক্ষিত মানুষদের শোষণ করে উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: জ্যাক সুলিভান

নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলোর আর্থিক প্রবাহের উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যুক্তরাজ্য। গত বছরের জুনে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়ার স্টারমার মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাদের সাথে তিনি ‘সন্ত্রাসীদের মতো’ আচরণ করতে চান বলে উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটিশ সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য নিবেদিত একটি নতুন কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছে এবং এই নেটওয়ার্কগুলোকে শনাক্ত করার জন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা জোরদার করেছে। নতুন ব্যবস্থাগুলো নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

অভিবাসী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন

আপডেট: ১১:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

অভিবাসী পাচারে জড়িত নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা তৈরি করবে যুক্তরাজ্য সরকার। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কয়েক বছর ধরে ইংলিশ চ্যানেলে ছোট নৌকায় অভিবাসীদের আগমন রোধ করার চেষ্টা করে আসছে লন্ডন। কিন্তু গত বছর চ্যানেলে অনিয়মিত অভিবাসন আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে মোট ৩৬ হাজার ৮১৬ জন যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন; যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

গত বছর চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ জন অনিয়মিত অভিবাসী। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন এই ব্যবস্থা অবৈধ অভিবাসন, যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের পাচার প্রতিরোধে লড়াই এবং প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অভিবাসী পাচার ঠেকাতে এমন ব্যবস্থা বিশ্বে প্রথমবারের মতো নেওয়া কোনও পদক্ষেপ হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই নেটওয়ার্কগুলোকে মোকাবিলায় সাহসী এবং উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ২০২৫ সালের শেষের দিকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে চ্যানেলে বিপজ্জনক পারাপারে জড়িত ব্যক্তি এবং চক্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হবে। এছাড়া যারা অরক্ষিত মানুষদের শোষণ করে উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: জ্যাক সুলিভান

নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলোর আর্থিক প্রবাহের উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যুক্তরাজ্য। গত বছরের জুনে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিয়ার স্টারমার মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাদের সাথে তিনি ‘সন্ত্রাসীদের মতো’ আচরণ করতে চান বলে উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটিশ সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য নিবেদিত একটি নতুন কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছে এবং এই নেটওয়ার্কগুলোকে শনাক্ত করার জন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা জোরদার করেছে। নতুন ব্যবস্থাগুলো নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

ঢাকা/এসএইচ