ইইউতে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ

- আপডেট: ১০:২১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৩৭৩ বার দেখা হয়েছে
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছরের অধিকাংশ সময়জুড়ে ওঠানামা সত্ত্বেও শেষ প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য রপ্তানির ফলেই এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউ
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সবশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের তুলনায় চীন ২০২৪ সালে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যেখানে পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৪ সালে ২৬ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যা ২০২৩ সালের ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি।
অন্যদিকে, তুরস্ক ২০২৪ সালে ইইউতে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে, যা ১০ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনাম ৪ দশমিক ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। আর পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ও ৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সরকারের সহায়তা চায় অর্থনীতি সমিতি
অন্যদিকে ২০২৪ সালে ভারত ইইউতে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্য সংযোজিত পোশাক উৎপাদন, শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা মান মেনে চলা এবং নির্মাতা ও শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কারণ এই স্থিতিশীল বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এ উন্নয়নগুলো ক্রেতাদের আস্থা বাড়িয়েছে, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করেছে এবং রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থান দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এটি ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস। কারণ, ২০২৫ সালে এই রপ্তানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ফিরে আসছে এবং এখানে সোর্সিং কার্যক্রম বাড়াচ্ছে, যা রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী সামনে কাজের অর্ডার আরও পাবে। ফলে, এবছরও গতবারের মতো প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা/এসএইচ