১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

কুর্মিটোলায় বাড়ছে রোগীর চাপ: ফাঁকা নেই আইসিউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪০৯ বার দেখা হয়েছে

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতেও রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সবশেষ সোমবার (৫ এপ্রিল) ৭ হাজার ৭৫ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি রোগী আসছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা ফাঁকা না থাকলেও প্রতিনিয়ত সিট পেতে আসছে অসংখ্য তদবির।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রথম পছন্দ। সেবার মান ও চিকিৎসক-নার্সদের আন্তরিক সেবার কারণে অধিকাংশ রোগীই চায় এ হাসপাতালে ভর্তি হতে। ফলে হাসপাতালে নির্ধারিত বেড সংখ্যার বাইরেও প্রায় দ্বিগুণ রোগী এসে ভর্তি হয়েছে।

হাসপাতালটির পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সালেহ আহমদ বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। সবগুলোতেই রোগী ভর্তি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাধ্যমে আমাদের কাছে তদবির আসছে, কিন্তু কিছুই করার নেই।

তিনি বলেন, যদিও আমাদের হাসপাতালে ২৭৫টি শয্যা কোভিডের জন্য ডেডিকেটেড, আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ৪০০ রোগী ভর্তি রয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৪২০ জন।

করোনা পরীক্ষার টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ১২০ জনের করোনা পরীক্ষার কিট বরাদ্দ থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহে দুই শতাধিক পর্যন্ত মানুষ পরীক্ষা করাতে আসছেন।

সংক্রমণের এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, এ অবস্থায় চিকিৎসা দিয়ে করোনা মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের অবশ্যই সংক্রমণ রোধ করায় গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করাতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কুর্মিটোলায় বাড়ছে রোগীর চাপ: ফাঁকা নেই আইসিউ

আপডেট: ০৫:৩৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতেও রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সবশেষ সোমবার (৫ এপ্রিল) ৭ হাজার ৭৫ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি রোগী আসছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা ফাঁকা না থাকলেও প্রতিনিয়ত সিট পেতে আসছে অসংখ্য তদবির।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্রথম পছন্দ। সেবার মান ও চিকিৎসক-নার্সদের আন্তরিক সেবার কারণে অধিকাংশ রোগীই চায় এ হাসপাতালে ভর্তি হতে। ফলে হাসপাতালে নির্ধারিত বেড সংখ্যার বাইরেও প্রায় দ্বিগুণ রোগী এসে ভর্তি হয়েছে।

হাসপাতালটির পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সালেহ আহমদ বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। সবগুলোতেই রোগী ভর্তি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাধ্যমে আমাদের কাছে তদবির আসছে, কিন্তু কিছুই করার নেই।

তিনি বলেন, যদিও আমাদের হাসপাতালে ২৭৫টি শয্যা কোভিডের জন্য ডেডিকেটেড, আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ৪০০ রোগী ভর্তি রয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়তই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৪২০ জন।

করোনা পরীক্ষার টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন ১২০ জনের করোনা পরীক্ষার কিট বরাদ্দ থাকলেও গত কয়েক সপ্তাহে দুই শতাধিক পর্যন্ত মানুষ পরীক্ষা করাতে আসছেন।

সংক্রমণের এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, এ অবস্থায় চিকিৎসা দিয়ে করোনা মোকাবিলা করা যাবে না। আমাদের অবশ্যই সংক্রমণ রোধ করায় গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করাতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/এসএ