১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চানখারপুলে গণহত্যা

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০২৮৯ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখারপুলে হত্যাযজ্ঞের তদন্ত শেষ হয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা ৮ জন।

আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাজুল ইসলাম জানান, ৯০ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়কাল ছিল ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন, কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

আরও পড়ুন: ফুটেজ বিশ্লেষণে শনাক্তের পর ৩ সন্দেহভাজন আসামি গ্রেপ্তার

তদন্তে উঠে এসেছে, পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন অথবা তা তত্ত্বাবধান করেছেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

চানখারপুলে গণহত্যা

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

আপডেট: ০২:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখারপুলে হত্যাযজ্ঞের তদন্ত শেষ হয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা ৮ জন।

আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাজুল ইসলাম জানান, ৯০ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়কাল ছিল ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল মো. সুজন, কনস্টেবল ইমাজ হোসেন ইমন, কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক রয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ঢাকা মহানগরীর চানখারপুল এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক এবং মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।

আরও পড়ুন: ফুটেজ বিশ্লেষণে শনাক্তের পর ৩ সন্দেহভাজন আসামি গ্রেপ্তার

তদন্তে উঠে এসেছে, পলাতক আসামি হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন অথবা তা তত্ত্বাবধান করেছেন। তারা অধীনস্থদের নির্দেশ প্রদান, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তারা এসব অপরাধ সংঘটন থেকে অধীনস্থদের বিরত রাখেননি বা পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থাও নেননি। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সংযুক্ত আছে ১৯টি ভিডিও, ১১টি পত্রিকার প্রতিবেদন, ২টি অডিও, ১১টি বই ও রিপোর্ট এবং ৬টি মৃত্যু সনদ।

ঢাকা/এসএইচ