০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা হলে কী খাবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০৩৭০ বার দেখা হয়েছে

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বিষয় সম্ভবত বমি বমি ভাব এবং বমি। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে রাতে যখন শরীরের সত্যিই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, তখন এই সমস্যা আরও বাড়ে। ঘুমানোর আগে বমি বমি ভাব বা বমি হলে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত লাগা স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় সব ধরনের খাবার তো আর খাওয়া চলবে না। খেতে হবে এমন কোনো খাবার যা পেটকে ঠান্ডা করে এবং বমির সমস্যা দূরে রাখে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা হলে কী খাবেন-

১. বাটারমিল্ক

বাটারমিল্ক হলো দই এবং পানি দিয়ে তৈরি একটি হালকা, প্রশান্তিদায়ক পানীয়। এর ক্ষারীয় প্রকৃতি রয়েছে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে প্রশমিত করে এবং বমি বমি ভাব দূর করে। এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। বাটারমিল্ক ঠান্ডা পান করতে পারেন, চাইলে এর সঙ্গে পুদিনা পাতা বা এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়া যোগ করতে পারেন। এটি হজম করা সহজ, হাইড্রেট করে এবং পেটের জন্য হালকা, ঠিক যেমনটি আপনি বমি করার পরে চান।

২. আদার পানি

বমি বমি ভাব দূর করার জন্য আদা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সফল হওয়ার কারণ জিঞ্জেরল নামে পরিচিত একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক। ছোট ছোট চুমুকে আদার পানি পান করলে পেট শান্ত হতে পারে। আদার টুকরো পানিতে ফুটিয়ে পান করার আগে সামান্য ঠান্ডা করে নিন। এরপর ছোট ছোট চুমুকে পান করুন। এটি আপনার বমির সমস্যা ফেরাতে বেশ কার্যকরী।

৩. কলা

কয়েকটি মৌলিক কারণে বমি করার পরে কলা একটি নিরাপদ খাবার। এটি নরম, পেটের জন্য কোমল এবং পটাসিয়ামে পূর্ণ – যা বমির পরে আপনার শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। কলা পেটে জ্বালা না করে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। পাকা কলা টুকরা করে খেতে পারেন আবার ব্যানানা শেক বা ফ্রুটস সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন: শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ৫ কৌশল

৪. মুগ ডালের পানি

এটি আরেকটি আরামদায়ক পছন্দ যা হালকা এবং পেট ভরে তোলে। মুগ ডালের পানিতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে এবং এটি প্রোটিন পাওয়ার খুব সহজ উপায়। ভালোভাবে পরিষ্কার করা মুগ ডাল ভিজিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিন। এরপর এর পানি ছেঁকে নিন। এতে মসলা যোগ করবেন না। এটি উষ্ণ, হালকা এবং আপনার পেটে জ্বালা করবে না।

৫. ম্যাশড পটেটো

পাচনতন্ত্র সংবেদনশীল হলে প্লেইন ম্যাশড পটেটে অবিশ্বাস্যভাবে আরামদায়ক হতে পারে। এটি নরম এবং প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। তবে এর সঙ্গে কোনো ভাজা টপিংস, মাখন বা মসলা যোগ করবেন না। কোনো মসলা বা তেল ছাড়া শুধু ম্যাশড পটেটো খাবেন। এটি খাওয়া এবং হজম করা সহজ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা হলে কী খাবেন

আপডেট: ০১:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বিষয় সম্ভবত বমি বমি ভাব এবং বমি। বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে রাতে যখন শরীরের সত্যিই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, তখন এই সমস্যা আরও বাড়ে। ঘুমানোর আগে বমি বমি ভাব বা বমি হলে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত লাগা স্বাভাবিক। এমন অবস্থায় সব ধরনের খাবার তো আর খাওয়া চলবে না। খেতে হবে এমন কোনো খাবার যা পেটকে ঠান্ডা করে এবং বমির সমস্যা দূরে রাখে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা হলে কী খাবেন-

১. বাটারমিল্ক

বাটারমিল্ক হলো দই এবং পানি দিয়ে তৈরি একটি হালকা, প্রশান্তিদায়ক পানীয়। এর ক্ষারীয় প্রকৃতি রয়েছে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে প্রশমিত করে এবং বমি বমি ভাব দূর করে। এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। বাটারমিল্ক ঠান্ডা পান করতে পারেন, চাইলে এর সঙ্গে পুদিনা পাতা বা এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়া যোগ করতে পারেন। এটি হজম করা সহজ, হাইড্রেট করে এবং পেটের জন্য হালকা, ঠিক যেমনটি আপনি বমি করার পরে চান।

২. আদার পানি

বমি বমি ভাব দূর করার জন্য আদা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সফল হওয়ার কারণ জিঞ্জেরল নামে পরিচিত একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক। ছোট ছোট চুমুকে আদার পানি পান করলে পেট শান্ত হতে পারে। আদার টুকরো পানিতে ফুটিয়ে পান করার আগে সামান্য ঠান্ডা করে নিন। এরপর ছোট ছোট চুমুকে পান করুন। এটি আপনার বমির সমস্যা ফেরাতে বেশ কার্যকরী।

৩. কলা

কয়েকটি মৌলিক কারণে বমি করার পরে কলা একটি নিরাপদ খাবার। এটি নরম, পেটের জন্য কোমল এবং পটাসিয়ামে পূর্ণ – যা বমির পরে আপনার শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। কলা পেটে জ্বালা না করে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। পাকা কলা টুকরা করে খেতে পারেন আবার ব্যানানা শেক বা ফ্রুটস সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

আরও পড়ুন: শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ৫ কৌশল

৪. মুগ ডালের পানি

এটি আরেকটি আরামদায়ক পছন্দ যা হালকা এবং পেট ভরে তোলে। মুগ ডালের পানিতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে এবং এটি প্রোটিন পাওয়ার খুব সহজ উপায়। ভালোভাবে পরিষ্কার করা মুগ ডাল ভিজিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করে নিন। এরপর এর পানি ছেঁকে নিন। এতে মসলা যোগ করবেন না। এটি উষ্ণ, হালকা এবং আপনার পেটে জ্বালা করবে না।

৫. ম্যাশড পটেটো

পাচনতন্ত্র সংবেদনশীল হলে প্লেইন ম্যাশড পটেটে অবিশ্বাস্যভাবে আরামদায়ক হতে পারে। এটি নরম এবং প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। তবে এর সঙ্গে কোনো ভাজা টপিংস, মাখন বা মসলা যোগ করবেন না। কোনো মসলা বা তেল ছাড়া শুধু ম্যাশড পটেটো খাবেন। এটি খাওয়া এবং হজম করা সহজ।

ঢাকা/এসএইচ