একমি পেস্টিসাইডসের অনিয়ম-দূর্নীতি ইস্যুতে হার্ডলাইনে বিএসইসি

- আপডেট: ০৬:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১০২৩৭ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের উপর পরিচালিত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে পরিচালনা পর্ষদসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রতিবেদন প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কমিশন সভাটি বিএসইসির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের উপর পরিচালিত অনুসন্ধান ও তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদের ৪ জন সদস্য (ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ) যথা: চেয়ারম্যান শান্তা সিনহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউর রহমান সিনহা, পরিচালক আহসান হাবিব সিনহা, পরিচালক কে এম হেলুয়ার; কোম্পানি সচিব সবুজ কুমার ঘোষ, চীফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার সেলিম রেজা এবং প্রতিবেদনে উল্লেখিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান প্লেসমেন্ট হোল্ডাররা যথা: মো. আফজাল হোসেন, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মো. মতিউর রহমান, বিক্রমপুর পটেটো ফ্লেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তফাজ্জল হোসেন ফরহাদ, জাভেদ এ মাতিন, বেঙ্গল অ্যাসেটস হোল্ডিংস লিমিটেড, চিটাগং পেস্টিসাইডস অ্যান্ড ফিশারিজ লিমিটেড, হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আঞ্জুমান আরা বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সারওয়ার, এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এমডিএ), তৌহিদা আক্তার, মো. রুহুল আজাদ ও রাণু ইসলাম; যারা শেয়ারের বিপরীতে কোন অর্থ পরিশোধ করেনি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এসইএমএল) প্রসপেক্টাসে মিথ্যা বা অসংগত তথ্য দাখিলের মাধ্যমে এর উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এর নিবন্ধন সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রি-আইপিও-কালিন কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির বাস্তব আর্থিক অবস্থা সন্নিবেশিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে নিরীক্ষক সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইপিও এর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে যথাযথ তথ্য সন্নিবিশিত না থাকায়, নিরীক্ষক শফিক বসাক অ্যান্ড কোং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (FRC)-এ প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকা/এসএইচ