ইরানে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর

- আপডেট: ০৬:১৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০২০৭ বার দেখা হয়েছে
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক ধর্মীয় নেতাকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার ওই অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করা হয়েছে বলে দেশটির বিচার বিভাগের পরিচালিত বার্তা সংস্থা মিজানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জন ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের খোররামশাহর জাতিগত আরব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে খোররামশাহর শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যকে হত্যার অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
মিজান অনলাইন বলেছে, অভিযুক্ত সপ্তম ব্যক্তি সামান মুহাম্মাদি খিয়ারে কুর্দি সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। তাকে ২০০৯ সালে কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের এক সুন্নি আলেমকে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, ইরান প্রায়ই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদেশিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে। দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সরকার এই ধরনের অভিযোগ করছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মুহাম্মাদি খিয়ারেহর মামলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ কিংবা ১৬ বছর। ১৯ বছর বয়সে তাকে গ্রেপ্তার করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখার পর তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলেছে, নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মুহাম্মাদির দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের বিভিন্ন আদালত অভিযুক্তদের দণ্ড নির্ধারণে এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ইরানে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বার্ষিক এই সংখ্যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সূত্র: এএফপি।
ঢাকা/এসএইচ