০৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আইসিইউতে রোগী প্রতি সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪১৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনা রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, হাসপাতালে বেড বেড়েছে। আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশের ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন দেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড আছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে। মাত্র ২০ দিনে ডিএনসিসি মার্কেটে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে ২০০টি আইসিইউ বেড রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃত্যু একটু বেড়ে গেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। সরকার সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ দিয়েছে। ‘লকডাউনে’ মোটামুটি কাজ হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি আমাদের মেনে চলতে হবে। নয়তো এখন আক্রান্ত ছয়/সাত হাজারে আছে, তখন ২১ হাজার চলে যাবে। সেই সময় হাসপাতালেও জায়গা হবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যে ভুল করেছি, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে চলতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে করতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, তিন কোটি টিকার জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা সঠিক সময়ে টিকা পাচ্ছি না। এজন্য আমরা যোগাযোগ করছি। কিছু দিনের মধ্যে হয়ত আসবে। এখনই তারিখ বলতে পারছি না। টিকা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টিকা পেতে কেবল সিরামের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি না। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। আশা করা যায়, টিকার কোনো সংকট হবে না।

টিকা অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনের টিকা ছাড়াও যেসব সংস্থা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে, তাদের বিষয়েও সরকার সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছে। রাশিয়ার টিকা এরই মধ্যে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলমসহ অনেকে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

আইসিইউতে রোগী প্রতি সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার

আপডেট: ০২:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনা রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, হাসপাতালে বেড বেড়েছে। আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশের ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন দেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় ২০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড আছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে। মাত্র ২০ দিনে ডিএনসিসি মার্কেটে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে ২০০টি আইসিইউ বেড রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃত্যু একটু বেড়ে গেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। সরকার সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ দিয়েছে। ‘লকডাউনে’ মোটামুটি কাজ হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি আমাদের মেনে চলতে হবে। নয়তো এখন আক্রান্ত ছয়/সাত হাজারে আছে, তখন ২১ হাজার চলে যাবে। সেই সময় হাসপাতালেও জায়গা হবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যে ভুল করেছি, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে চলতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে করতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, তিন কোটি টিকার জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা সঠিক সময়ে টিকা পাচ্ছি না। এজন্য আমরা যোগাযোগ করছি। কিছু দিনের মধ্যে হয়ত আসবে। এখনই তারিখ বলতে পারছি না। টিকা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে যাবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টিকা পেতে কেবল সিরামের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি না। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। আশা করা যায়, টিকার কোনো সংকট হবে না।

টিকা অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনের টিকা ছাড়াও যেসব সংস্থা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে, তাদের বিষয়েও সরকার সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছে। রাশিয়ার টিকা এরই মধ্যে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। বাকিগুলোও ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলমসহ অনেকে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: