০২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

রোজায় পানিশূন্যতা, প্রতিরোধের উপায়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
  • / ১০২৩২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেহের অঙ্গগুলোকে ঠিকঠাক মতো কাজ করাতে পানির প্রয়োজন। পানিশূন্যতা হলে হিট স্ট্রোক, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। রোজার সময় যহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় তাই পানিশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তবে একটু সতর্ক হলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করে সুস্থভাবে রোজা পালন সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোজায় পানিশূন্যতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ সাভারের চিকিৎসক ডা. শাকিল মাহমুদ। তার পরামর্শ মতে-

১. পানিশূন্যতা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সেহরি থেকেই শুরু করতে হবে। সেহরিতে অন্তত এক লিটার পানি পান করুন। দেহে পানি ধরে রাখবে এমন খাবার এ সময়ের খাদ্যতালিকায় রাখুন। যেমন: শশা, টমেটো, গাজর, দেশি ফল, ডাবের পানি ইত্যাদি।

২. রোজার দিনে সেহরির পরে অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করাই ভালো। যেহেতু এখন গরমকাল তাই চেষ্টা করুন দিনের বেশিরভাগ সময় ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে। বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন। ইফতারের পরেও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত হোন।

৩. সেহরির সময় চা, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায় এবং প্রস্রাব বেশি তৈরি করে।

৪. পানিশূন্যতা কমাতে ইফতারের সময় অর্ধ-তরল, তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অল্প অল্প পানি ও তরল পান করুন। কৃত্রিম পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। চা খেতে হলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করাই ভালো।

৫. ইফতার ও সেহরিতে এমন ফল বেছে নিন যেগুলো রসালো। যেমন: তরমুজ, বাঙ্গি, পেঁপে, স্টবেরি ইত্যাদি।

৬. হজমের সমস্যা না থাকলে খাদ্যতালিকায় দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার রাখুন। এগুলো দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এবং পানিশূন্যতা কমাবে।

৭. দেহের তাপ বাড়িয়ে দেবে এমন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। এ সময়ে হালকা রঙের, পাতলা সুতির পোশাক পরুন। এতে ঘাম সহজেই শুকিয়ে যাবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

রোজায় পানিশূন্যতা, প্রতিরোধের উপায়

আপডেট: ০৬:১৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেহের অঙ্গগুলোকে ঠিকঠাক মতো কাজ করাতে পানির প্রয়োজন। পানিশূন্যতা হলে হিট স্ট্রোক, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়। রোজার সময় যহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় তাই পানিশূন্যতা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তবে একটু সতর্ক হলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করে সুস্থভাবে রোজা পালন সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোজায় পানিশূন্যতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ সাভারের চিকিৎসক ডা. শাকিল মাহমুদ। তার পরামর্শ মতে-

১. পানিশূন্যতা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সেহরি থেকেই শুরু করতে হবে। সেহরিতে অন্তত এক লিটার পানি পান করুন। দেহে পানি ধরে রাখবে এমন খাবার এ সময়ের খাদ্যতালিকায় রাখুন। যেমন: শশা, টমেটো, গাজর, দেশি ফল, ডাবের পানি ইত্যাদি।

২. রোজার দিনে সেহরির পরে অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করাই ভালো। যেহেতু এখন গরমকাল তাই চেষ্টা করুন দিনের বেশিরভাগ সময় ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে। বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন। ইফতারের পরেও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত হোন।

৩. সেহরির সময় চা, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়ায় এবং প্রস্রাব বেশি তৈরি করে।

৪. পানিশূন্যতা কমাতে ইফতারের সময় অর্ধ-তরল, তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অল্প অল্প পানি ও তরল পান করুন। কৃত্রিম পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। চা খেতে হলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করাই ভালো।

৫. ইফতার ও সেহরিতে এমন ফল বেছে নিন যেগুলো রসালো। যেমন: তরমুজ, বাঙ্গি, পেঁপে, স্টবেরি ইত্যাদি।

৬. হজমের সমস্যা না থাকলে খাদ্যতালিকায় দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার রাখুন। এগুলো দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এবং পানিশূন্যতা কমাবে।

৭. দেহের তাপ বাড়িয়ে দেবে এমন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। এ সময়ে হালকা রঙের, পাতলা সুতির পোশাক পরুন। এতে ঘাম সহজেই শুকিয়ে যাবে।

ঢাকা/টিএ