০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাচারের টাকা ফেরতের সুযোগ শুধু বৈধ আয়ে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ১০৩৬৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা শুধু বৈধ উপার্জনকারীদের জন্য। প্রকৃত অর্থে কালো টাকার মালিকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, কালো টাকার মালিকের সংখ্যা কম। যারা বৈধভাবে আয় করে তারাই বেশি। অর্থ ফেরত আনার এমন সুযোগ দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ ভালো ফল পেয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পাচারের অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের রাজস্ব পরিস্থিতি এবং চলতি বছরের আদায় বাড়ানোর কার্যক্রম তুলে ধরেন তিনি। এ সময় রাজস্ব বোর্ডের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রহমাতুল মুনিম বলেন, বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে পত্রিকায় অনেক সমালোচনা হয়েছে। সে জন্য এর একটা ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বিদেশে টাকা জমা রাখেন বা কোনো বৈধ আয় থাকে, তবে সেই টাকা দেশে আনলে তিনি লাভবান হবেন। আমরা তাঁদের জন্য এ সুযোগ রেখেছি। এ জন্য তাঁদের কোনো প্রশ্ন করা হবে না। কেউ তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে না। এই টাকা দেশে এলে অর্থনীতির মূলস্রোতে যুক্ত হবে। ফলে বিনিয়োগ বাড়বে ও রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে। ’

রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর নীতি) সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আসলে এটাকে কালো টাকা বলা যায় না। অনেকের অপ্রদর্শিত আয় আছে। তিনি দেশের বাইরে টাকা রেখেছেন। কিন্তু কোনো কারণে রিটার্নে তা দেখাতে পারেননি। তাঁদের জন্য বাজেটে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

পাচারের টাকা ফেরতের সুযোগ শুধু বৈধ আয়ে

আপডেট: ০২:২০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা শুধু বৈধ উপার্জনকারীদের জন্য। প্রকৃত অর্থে কালো টাকার মালিকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেছেন, কালো টাকার মালিকের সংখ্যা কম। যারা বৈধভাবে আয় করে তারাই বেশি। অর্থ ফেরত আনার এমন সুযোগ দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ ভালো ফল পেয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল রোববার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পাচারের অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের রাজস্ব পরিস্থিতি এবং চলতি বছরের আদায় বাড়ানোর কার্যক্রম তুলে ধরেন তিনি। এ সময় রাজস্ব বোর্ডের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রহমাতুল মুনিম বলেন, বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে পত্রিকায় অনেক সমালোচনা হয়েছে। সে জন্য এর একটা ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বিদেশে টাকা জমা রাখেন বা কোনো বৈধ আয় থাকে, তবে সেই টাকা দেশে আনলে তিনি লাভবান হবেন। আমরা তাঁদের জন্য এ সুযোগ রেখেছি। এ জন্য তাঁদের কোনো প্রশ্ন করা হবে না। কেউ তাঁর আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে না। এই টাকা দেশে এলে অর্থনীতির মূলস্রোতে যুক্ত হবে। ফলে বিনিয়োগ বাড়বে ও রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে। ’

রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর নীতি) সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আসলে এটাকে কালো টাকা বলা যায় না। অনেকের অপ্রদর্শিত আয় আছে। তিনি দেশের বাইরে টাকা রেখেছেন। কিন্তু কোনো কারণে রিটার্নে তা দেখাতে পারেননি। তাঁদের জন্য বাজেটে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা/এসএ