১২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৩৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। বুধবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সফর শুরুর আগে দুটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি দুই দেশের সম্পর্কে ‘জেনেরোসিটি’ বা আন্তরিকতার প্রসঙ্গটি এনেছেন। সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই আন্তরিকতা উপলব্ধি করেছেন কিনা।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথেষ্ট আন্তরিকতা পেয়েছি। যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে সবাই খুব আন্তরিক ছিলেন। তবে বড় কথা হলো বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সব দল এক। যেমন আমাদের এখানে একাত্তরে সব দল মত এক হয়ে সমর্থন দিয়েছিল। আবার যখন আমরা আমাদের স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করি, যখন ছিটমহল বিনিময় করি, ভারতের পার্লামেন্টে যখন স্থল সীমান্ত বিল পাস হয়, সব দল মিলে কিন্তু আইনটা পাস করেছিল।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ, তাদের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক থাকবে। এটাও বাস্তব, পাশাপাশি একটি দেশের সঙ্গে নানা সমস্যা থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে এগুলোর সমাধান করা যায়। আমাদের নিজেদের জন্যই দরকার।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর অনেক রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন একে একে আমরা এগুলো খুলে দিচ্ছি। আমাদের উত্তরের যে জেলা-উপজেলাগুলো আছে সেগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাতে আরও গতিশীল হয় সেজন্যই এটা হচ্ছে। কাজেই আন্তরিকতা আমি কোনও অভাব দেখিনি। আপনি যদি নিজে ভালো বন্ধু হন তো সবাই ভালো থাকবে। আর যদি নিজে একটু এদিকওদিক করেন, তবে সবাই ভালো থাকে না, তাই না?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেই তো বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আমরা এটা মেনে চলছি।

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে সমুদ্রসীমা মিটমাট করলাম। আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু নষ্ট হয়নি।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। বুধবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

এতে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সফর শুরুর আগে দুটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি দুই দেশের সম্পর্কে ‘জেনেরোসিটি’ বা আন্তরিকতার প্রসঙ্গটি এনেছেন। সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই আন্তরিকতা উপলব্ধি করেছেন কিনা।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথেষ্ট আন্তরিকতা পেয়েছি। যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে সবাই খুব আন্তরিক ছিলেন। তবে বড় কথা হলো বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সব দল এক। যেমন আমাদের এখানে একাত্তরে সব দল মত এক হয়ে সমর্থন দিয়েছিল। আবার যখন আমরা আমাদের স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করি, যখন ছিটমহল বিনিময় করি, ভারতের পার্লামেন্টে যখন স্থল সীমান্ত বিল পাস হয়, সব দল মিলে কিন্তু আইনটা পাস করেছিল।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ, তাদের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক থাকবে। এটাও বাস্তব, পাশাপাশি একটি দেশের সঙ্গে নানা সমস্যা থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে এগুলোর সমাধান করা যায়। আমাদের নিজেদের জন্যই দরকার।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর অনেক রেল যোগাযোগ, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন একে একে আমরা এগুলো খুলে দিচ্ছি। আমাদের উত্তরের যে জেলা-উপজেলাগুলো আছে সেগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাতে আরও গতিশীল হয় সেজন্যই এটা হচ্ছে। কাজেই আন্তরিকতা আমি কোনও অভাব দেখিনি। আপনি যদি নিজে ভালো বন্ধু হন তো সবাই ভালো থাকবে। আর যদি নিজে একটু এদিকওদিক করেন, তবে সবাই ভালো থাকে না, তাই না?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেই তো বলা আছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আমরা এটা মেনে চলছি।

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে সমুদ্রসীমা মিটমাট করলাম। আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু নষ্ট হয়নি।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

আরো পড়ুন:  সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা/এসএ