আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোংয়ের অপেশাদারীত্বে
চার ফান্ডের ১৫৮ কোটি টাকা খোয়া

- আপডেট: ০৬:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১০৫৭৫ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫৮ কোটি আত্মসাত করেছে জাল ব্যাংক প্রতিবেদন ও ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস)। ফান্ডগুলোর নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আহমেদ জাকির অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের অপেশাদারীত্বের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে পুঁজিবাজারের কোন কোম্পানির অর্থিক প্রতিবেদন অডিট করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিএসইসির জারিকৃত আদেশে বলা হয়, পুঁজিবাজারের চারটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রায় ১৫৮ কোটি আত্মসাতের যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে চারটি তহবিলেরই নিরীক্ষার দায়িত্বে ছিল আহমেদ জাকির অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। তহবিলগুলো হলো ইউএফএস–আইবিবিএল শরিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস–পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস–পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড ও ইউএফএস–ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড। এসব ফান্ড বা তহবিলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইউএফএস।
আরও পড়ুন: ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানিয়েছে ৪ কোম্পানি
উল্লেখ্য, ইউএফএসের ফান্ডগুলোর মধ্যে- আইবিবিএল ২০০ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া ১০০ কোটি, পপুলার লাইফ ৮০ কোটি, পদ্মা লাইফ ৫০ কোটি এবং প্রগতি লাইফ ইউনিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকার তহবিল পরিচালনা করছে এই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও সানলাইফ ইউনিট ফান্ডের ১০ কোটি এবং ইউএফএস ইউনিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকার তহবিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে গত বছরের ১৩ অক্টোবর দুবাই পালিয়েছে কোম্পানির এমডি হামজা আলমগীর। এর আগে দুবাই এবং ঢাকায় বারবার আসা-যাওয়া করলেও, তদন্তের শেষ দিকে তিনি আর দেশে ফেরেননি।
ইতিমধ্যে কোম্পানিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বিএসইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, ৫টি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে ইউএফএস। এসব তহবিলের আকার ৪৪০ কোটি টাকা। এই ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেয়া প্রতিষ্ঠান) হিসাবে রয়েছে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
আরও পড়ুন: ইউএফএসের ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
বিএসইসি বলছে, সংস্থাটির প্রাথমিক তদন্তে এসব তহবিলের নিরীক্ষাকালে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোংয়ের অপেশাদারীত্বের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ইউএফএসের ব্যবস্থাপনায় থাকা সব মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের নিরীক্ষা কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
ঢাকা/এসএ