করমুক্ত আয়ের সীমা ৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব: আইসিএমএবি

- আপডেট: ০৭:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১০৩৮৬ বার দেখা হয়েছে
ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্সটিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে কয়েকটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আয়োজিত এক প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন তাগিদ দেয়া হয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এছাড়া, সকল প্রকার কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা বহির্ভূত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্সটিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পাশাপাশি ফেসবুক, গুগলসহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কর আরোপনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় দ্যা ইন্সটিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি), আইসিএসবি, আইসিএবি, আইএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রোফেশনাল ফোরাম, ইরনেস্ট এন্ড ইয়ং এডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ছয় মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ
ডিজিটাল ইকোনমির আয়ের উপর কর আরোপ প্রসঙ্গে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোন বিদেশি কোম্পানিকে কর ধার্যের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশি কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে ও তা তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে। এর ফলে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের উপর কর প্রদানে বাধ্য থাকবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর উৎসে কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাল-ডাল-আটা-ময়দাসহ সকল কৃষি পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ হারে কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এসময় পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেন, অর্থবছর শেষ হওয়ার পর আয়কর আইনের শর্ত শিথিল বা সুবিধা দিলে তা করদাতাদের খুব বেশি কাজে আসে না। এছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূলধনের ওপর ঋণ প্রাপ্তির সীমা বেধে দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়।
রাজস্ব আহরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কথাও বলেন নেতারা।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর না চাপিয়ে ধীরে ধীরে সহনীয়ভাবে পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।
ঢাকা/টিএ