০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ছয় মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৮৬ বার দেখা হয়েছে

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২১ সালের একই সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহের পরিমাণ ছিলো ১৫ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় ঋণ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পায়। ব্যাংক খাতের এমন অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবেও সার্বিকভাবে আমানত কিছুটা কমেছে। তবে ঋণ ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে রাখা আমানতের পরিমাণ ২৯ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৩ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চার বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ২০৩১ সালের মধ্যে চিপ রপ্তানি করে ১০ মিলিয়ন ডলার আয় হবে: পলক

জানা যায়, দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। যাত্রা শুরুর মাত্র ৯ বছর শেষে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮৪টি। সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ২২৬টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয় ২০ হাজার ৮৩৬টি।

এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ছয় মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ

আপডেট: ০৫:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২১ সালের একই সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহের পরিমাণ ছিলো ১৫ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় ঋণ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পায়। ব্যাংক খাতের এমন অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবেও সার্বিকভাবে আমানত কিছুটা কমেছে। তবে ঋণ ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে রাখা আমানতের পরিমাণ ২৯ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যার পরিমাণ ছিলো ৩ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ চার বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ২০৩১ সালের মধ্যে চিপ রপ্তানি করে ১০ মিলিয়ন ডলার আয় হবে: পলক

জানা যায়, দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। যাত্রা শুরুর মাত্র ৯ বছর শেষে এই সেবার গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮৪টি। সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এরকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ২২৬টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয় ২০ হাজার ৮৩৬টি।

এজেন্ট ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এজেন্ট আউটলেটে একজন গ্রাহক সহজেই তার হাতের আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। তাই গ্রামীণ জনপদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যকরী একটি উদ্যোগ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে ব্রাজিল। আর বাংলাদেশে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করেন এজেন্টরা। তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপযোগ সেবার বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর অর্থও উত্তোলন করা যায়। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারেন এসব এজেন্ট। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই এজেন্টদের।

ঢাকা/টিএ