স্মার্ট সমাজ গড়তে যে ৫ সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট: ০৬:০৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
- / ১০৩৮৪ বার দেখা হয়েছে
স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঁচটি মূল সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে “স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ”- শীর্ষক একটি পার্শ্ব অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী মূল সমর্থনগুলো উপস্থাপন করেন।
সোমবার (০৬ মার্চ) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (কিউএনসিসি) অডিটোরিয়াম-৩ এ পার্শ্ব অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান সহায়তার প্রথমটিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকরী প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতকে যথাযথ প্রণোদনা প্রদান।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
দ্বিতীয়টিতে তিনি বলেন, এলডিসিগুলোতে ব্রডব্যান্ড বিভাজন ও প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করুন।
তৃতীয় সহায়তা হিসেবে তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবেলায় পেশাদার গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
চতুর্থত সহায়তা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, উত্তরণের পরেও বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি-রাসায়নিকের জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীনে এলডিসি মওকুফের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা।
পঞ্চম সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন দুটি’র জন্যই সহায়ক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থা বিকাশে সহায়তা।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসের রাতে ১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’
২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পরবর্তী রূপকল্পে আরও অনেক এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি চারটি মূল উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। যেগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।’
তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে উন্নীত করতে সহায়তা করবে স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ। সূত্র- বাসস
ঢাকা/এসএ