০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় পিছিয়ে বাংলাদেশ

মালিকানায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার রয়েছে।কিন্তু কোম্পানিতে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই এমন শেয়ারহোল্ডাররাই বিশ্বব্যাপী মাইনরিটি ইনভেস্টর বা সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীহিসেবে পরিচিত।এ ধরনের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায়ও এখনো এদিক থেকে নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে অতিক্রম করে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। গোটা বিশ্বেই ক্ষুদ্র ও সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।একই সঙ্গে গুরুত্ব পায় তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তাও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের এ অগ্রাধিকারে বিষয়গুলো নিশ্চিতের ক্ষেত্রে দেশভিত্তিক র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। এডিবির ‘করপোরেট গভর্ন্যান্স ইন সাউথ এশিয়া: ট্রেন্ডস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক টম কার্চমেয়া ও ইউনিভার্সিটি কএডিবির অফিস অব দ্য কমপ্লায়েন্স রিভিউ প্যানেলের প্রজেক্ট লিডার অ্যান্ড অ্যাডভাইজার ইরাম আহসানজানিয়েছেন, সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন ল (সার্কল)-এর যৌথ সহযোগিতার ভিত্তিতে এটি প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হওয়ার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায় ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফ্যামিলিটেক্স (বিডি) লিমিটেড ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ৩৪ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে উচ্চসুদের ব্যাংকঋণ পরিশোধের জন্য পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছিল কোম্পানিটি।এরপর টানা চার বছর ধরে লোকসানে কোম্পানিটি গত দুই বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দেয়নি কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা গোপনে শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ বর্তমানে কোম্পানিটির ১০ টাকার শেয়ারের দাম কমতে কমতে ২ টাকা ৫০ পয়সায়দাঁড়িয়েছে। এমন আরেক কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।এ সময় বাজার থেকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে কোম্পানিটি আইপিওর এ অর্থ চলতি মূলধন ও ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করেছে এমারেল্ড অয়েল। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনেরকরা মামলায় কোম্পানিটির কয়েকজন পরিচালক পলাতক রয়েছেন তিন বছর ধরেই উৎপাদন বন্ধ থাকা এ কোম্পানি থেকে লভ্যাংশও পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা
x
English Version