০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডে সরকারি সফর দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনা করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগে আহ্বান জানানো হয়।ইউএনএসক্যাপে সব ধরনের আগ্রাসন-নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি।

আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল-বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি।

সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

থাইল্যান্ড সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডে সরকারি সফর দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনা করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগে আহ্বান জানানো হয়।ইউএনএসক্যাপে সব ধরনের আগ্রাসন-নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি।

আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল-বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জ্বালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি।

সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে দেশটির ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি।

থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।

ঢাকা/এসএইচ