০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সৃজনশীলতার বিকাশ হোক কৈশোরেই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৭ বার দেখা হয়েছে

সবার মধ্যে সৃজনশীলতা থাকে। কিন্তু সবাই সৃজনশীল হয় না। সৃজনশীল হওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় ও সাধনা। সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। শৈশব ও কৈশোরের সময়টা সৃজনশীলতা বিকশিত করার উত্তম সময়। সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা জরুরি। 

ছবি আঁকুন, ছবি তুলুন

সৃজনশীল হতে চাইলে ছবি আঁকা ও ছবি তোলার চর্চা থাকা উচিত। নিয়মিত ছবি আঁকলে বা ছবি তুললে উন্নত মানসিকতা এবং সবকিছু আলাদাভাবে দেখার ভঙ্গী তৈরি হয়। যারা ছবি তোলা বা ছবি আঁকার কাজ করেন তারা তাদের সৃজনশীলতা ও প্রতিভাকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন। সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বিশ্বজয় করা সম্ভব। নকশা বা লোগো তৈরি করার মাধ্যমেও সৃজনশীলতা বিকশিত হয়। 

নাচুন

সৃজনশীলতা বিকাশে নাচ অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নাচের মুদ্রার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করতে হয়। শরীরের অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শনের মাধ্যমে নেচে নেচে অন্যকে আনন্দ দেয়া হয়। নৃত্যশিল্পীরা নৃত্যের মাধ্যমে কোনো গান বা কবিতা ফুটিয়ে তোলেন। নৃত্য সৃজনশীলতার একটি মাধ্যম। এক শরীরের অঙ্গভঙ্গীর মধ্যে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকে। শরীর নাড়িয়ে অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শনের মাধ্যমে ব্যায়ামও হয়ে থাকে। 

গান শুনুন, গান করুন

শব্দ তৈরি হয় কণ্ঠ থেকে। সুর বেরিয়ে আসে হৃদয় থেকে। মনের মধ্যে যে আওয়াজ বন্দী রয়েছে সেই আওয়াজকে বের করে আনার জন্য গান শুনতে হবে এবং নিয়মিত গানের রেওয়াজ করতে হবে। হারমোনিয়াম নিয়ে প্রতিদিন সকালে গলাসাধার মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পীরা নিজেদের সৃজনশীল প্রতিভার অন্বেষণ করেন। গানের মাধ্যমে মনের সুপ্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ করা যায়। গান শুনলেও মন ভালো হয়। 

শ্বাস নিন

যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাসপ্রশ্বাস সচল রয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জীবনের ব্যাপ্তি রয়েছে। শ্বাস যত দীর্ঘ হয়, জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি তত গভীর হয়। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় নিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শোনা উচিত। এতে শারীরিকভাবে যেমন অনেক সুফল পাওয়া যায়, তেমন মনকেও এনে দেয় প্রশান্তি। গভীরভাবে শ্বাস নিলে আশেপাশের মানুষ সম্পর্কে সহজেই বোঝা সম্ভব। 

প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান

আমাদের ঘিরে রেখেছে প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছে গেলে বোঝা যায় আমরা কতটা ক্ষুদ্র। সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য অনেকেই প্রকৃতির নিস্তব্ধতার সন্ধান করেন। নিজের সম্পর্কে গভীরভাবে বোঝাপড়ার জন্য প্রকৃতিকে কাছ থেকে অনুভব করা জরুরি। নিজেকে অন্যদের কাছে সৃজনশীল ও প্রতিভাবান হিসেবে উপস্থাপনের জন্য প্রকৃতিকে চেনা একান্ত প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

সৃজনশীলতার বিকাশ হোক কৈশোরেই

আপডেট: ০৪:৪০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবার মধ্যে সৃজনশীলতা থাকে। কিন্তু সবাই সৃজনশীল হয় না। সৃজনশীল হওয়ার জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় ও সাধনা। সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। শৈশব ও কৈশোরের সময়টা সৃজনশীলতা বিকশিত করার উত্তম সময়। সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা জরুরি। 

ছবি আঁকুন, ছবি তুলুন

সৃজনশীল হতে চাইলে ছবি আঁকা ও ছবি তোলার চর্চা থাকা উচিত। নিয়মিত ছবি আঁকলে বা ছবি তুললে উন্নত মানসিকতা এবং সবকিছু আলাদাভাবে দেখার ভঙ্গী তৈরি হয়। যারা ছবি তোলা বা ছবি আঁকার কাজ করেন তারা তাদের সৃজনশীলতা ও প্রতিভাকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেন। সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বিশ্বজয় করা সম্ভব। নকশা বা লোগো তৈরি করার মাধ্যমেও সৃজনশীলতা বিকশিত হয়। 

নাচুন

সৃজনশীলতা বিকাশে নাচ অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নাচের মুদ্রার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করতে হয়। শরীরের অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শনের মাধ্যমে নেচে নেচে অন্যকে আনন্দ দেয়া হয়। নৃত্যশিল্পীরা নৃত্যের মাধ্যমে কোনো গান বা কবিতা ফুটিয়ে তোলেন। নৃত্য সৃজনশীলতার একটি মাধ্যম। এক শরীরের অঙ্গভঙ্গীর মধ্যে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকে। শরীর নাড়িয়ে অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শনের মাধ্যমে ব্যায়ামও হয়ে থাকে। 

গান শুনুন, গান করুন

শব্দ তৈরি হয় কণ্ঠ থেকে। সুর বেরিয়ে আসে হৃদয় থেকে। মনের মধ্যে যে আওয়াজ বন্দী রয়েছে সেই আওয়াজকে বের করে আনার জন্য গান শুনতে হবে এবং নিয়মিত গানের রেওয়াজ করতে হবে। হারমোনিয়াম নিয়ে প্রতিদিন সকালে গলাসাধার মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পীরা নিজেদের সৃজনশীল প্রতিভার অন্বেষণ করেন। গানের মাধ্যমে মনের সুপ্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ করা যায়। গান শুনলেও মন ভালো হয়। 

শ্বাস নিন

যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাসপ্রশ্বাস সচল রয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের জীবনের ব্যাপ্তি রয়েছে। শ্বাস যত দীর্ঘ হয়, জীবন সম্পর্কে উপলব্ধি তত গভীর হয়। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় নিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শোনা উচিত। এতে শারীরিকভাবে যেমন অনেক সুফল পাওয়া যায়, তেমন মনকেও এনে দেয় প্রশান্তি। গভীরভাবে শ্বাস নিলে আশেপাশের মানুষ সম্পর্কে সহজেই বোঝা সম্ভব। 

প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান

আমাদের ঘিরে রেখেছে প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছে গেলে বোঝা যায় আমরা কতটা ক্ষুদ্র। সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য অনেকেই প্রকৃতির নিস্তব্ধতার সন্ধান করেন। নিজের সম্পর্কে গভীরভাবে বোঝাপড়ার জন্য প্রকৃতিকে কাছ থেকে অনুভব করা জরুরি। নিজেকে অন্যদের কাছে সৃজনশীল ও প্রতিভাবান হিসেবে উপস্থাপনের জন্য প্রকৃতিকে চেনা একান্ত প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন: