০১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএফআইইউ'র প্রতিবেদন

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪০৮৭ বার দেখা হয়েছে

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালের র‌্যাংকিংয়ে আগের ৪১ অবস্থান থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল। বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। এরপরই পর্যায়ক্রমে চাঁদ ও মিয়ানমারের অবস্থান। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড যার অবস্থান ১৫২।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫২টি দেশের ওপর এ র‌্যাংকিং করা হয়। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য ১৪০তম।

প্রতিষ্ঠানটি ১২ বছর ধরে র‌্যাংকিং তালিকা তৈরি করে আসছে। একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং দেওয়া হয়। মোট ১০০ মার্কিংয়ের মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় ৫ নম্বর রয়েছে।

আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ শ্রম সংস্থার চিঠি

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।

ঢাকা/এসএম

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

English Version

বিএফআইইউ'র প্রতিবেদন

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি

আপডেট: ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালের র‌্যাংকিংয়ে আগের ৪১ অবস্থান থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল। বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। এরপরই পর্যায়ক্রমে চাঁদ ও মিয়ানমারের অবস্থান। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড যার অবস্থান ১৫২।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫২টি দেশের ওপর এ র‌্যাংকিং করা হয়। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য ১৪০তম।

প্রতিষ্ঠানটি ১২ বছর ধরে র‌্যাংকিং তালিকা তৈরি করে আসছে। একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং দেওয়া হয়। মোট ১০০ মার্কিংয়ের মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় ৫ নম্বর রয়েছে।

আরও পড়ুন: ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ শ্রম সংস্থার চিঠি

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।

ঢাকা/এসএম

Print Friendly, PDF & Email