০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

অটিস্টিক শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অটিজম আক্রান্ত শিশুর প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিয়ে তাদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরিবার, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলে, ‘তাদের লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভা বের করে আনতে হবে, তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে; যাতে করে তারা সমাজের কাজে আসে, জীবনকে সুন্দর করতে পারে।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অটিজম আক্রান্ত শিশুর দেখভাল, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য মা-বাবা, শিক্ষক ও সেবকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করার কথাও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ (২ এপ্রিল)। শনিবার (২ এপ্রিল) দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২ এপ্রিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান খান। উপস্থিত ছিলো প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানাভাবে পালন হচ্ছে ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।

২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছে শেখ হাসিনা তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। অটিজম সচেতনতায় পুতুলের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পুতুল কাজ শুরু করার পর দেশে মানুষের মধ্যে অটিজম সচেতনতা বেড়েছে। তারা এখন আর শিশুদের ঘরে বন্দি করে রাখেন না। 

অটিজম আক্রান্ত শিশুর প্রতি সদয় দৃষ্টিভঙ্গির অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে, ‘অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা আলাদা কোনো ব্যক্তি নয়। তাদের আপন করে নিতে হবে। যারা একটু কম অসুস্থ, তাদের সাধারণ স্কুলে নিয়ে গেলে তারা স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশার সুযোগ পাবে। একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে। সেখানে তারা বন্ধুত্ব করুক, মারামারি করুক.. একসময় তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। এভাবেই তারা অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আমাদের নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসব। 

তিনি বলে,‘অটিজম কোনো রোগ নয়। কোনো দোষে এটা হয় না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তাদের সবার মতো সমভাবে দেখতে হবে। তারাও আমাদের সন্তান। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আমরা সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।’

অটিজম আক্রান্ত শিশুর সেবায় গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলে, ‘অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চেয়ে আলাদা। এদের মধ্যে মৃদু মাত্রা ছাড়া অন্যান্য মাত্রার শিশু ও ব্যক্তির জন্য জীবনচক্রের প্রতিটি ধাপে প্রয়োজন থেরাপি ও চিকিৎসা সেবা। অন্যের সাহায্য ছাড়া এদের জীবন প্রায় অচল। সে কারণে দক্ষ, পেশাজীবী ও দক্ষ কেয়ার গিভার তৈরি মাতা-পিতা বা অভিভাবক, শিক্ষক সকলকেই গুণগতমানের সেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানায়, অটিস্টিক শিশুদের জন্য সরকার ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজীকরণ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কি না তা জানা যাবে। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় এ বছরই ১৪টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। 

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলে, জাতির পিতা প্রথম অনগ্রসর ব্যক্তিদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম সংবিধানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে দেশের ৪৭টি সাধারণ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।

শেখ হাসিনা জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করে। ২০০৪ সালে নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ট্রাস্ট থেকে ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০১ জনকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।  নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা চালু করেছে।

সরকার প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ণ করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী বিশেষ স্কুল স্থাপন ও অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সারাদেশে ৭৪টি বিশেষ বিদ্যালয় সরকারি অনুদানে পরিচালিত হচ্ছে। 

এনডিডি ব্যক্তিদের জীবনচক্রব্যাপী বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ণ করা হয়েছে। এর আলোকে প্রথম পর্যায়ে ১৪টি অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব কেন্দ্র আরও বাড়ানো হবে। 

ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ২০১০ সালে একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু করা হয়েছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্যাডিয়েট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

অটিস্টিক শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:১৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অটিজম আক্রান্ত শিশুর প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিয়ে তাদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরিবার, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলে, ‘তাদের লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভা বের করে আনতে হবে, তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে; যাতে করে তারা সমাজের কাজে আসে, জীবনকে সুন্দর করতে পারে।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অটিজম আক্রান্ত শিশুর দেখভাল, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য মা-বাবা, শিক্ষক ও সেবকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করার কথাও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ (২ এপ্রিল)। শনিবার (২ এপ্রিল) দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২ এপ্রিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান খান। উপস্থিত ছিলো প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানাভাবে পালন হচ্ছে ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’।

২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছে শেখ হাসিনা তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। অটিজম সচেতনতায় পুতুলের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পুতুল কাজ শুরু করার পর দেশে মানুষের মধ্যে অটিজম সচেতনতা বেড়েছে। তারা এখন আর শিশুদের ঘরে বন্দি করে রাখেন না। 

অটিজম আক্রান্ত শিশুর প্রতি সদয় দৃষ্টিভঙ্গির অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে, ‘অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিরা আলাদা কোনো ব্যক্তি নয়। তাদের আপন করে নিতে হবে। যারা একটু কম অসুস্থ, তাদের সাধারণ স্কুলে নিয়ে গেলে তারা স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশার সুযোগ পাবে। একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে। সেখানে তারা বন্ধুত্ব করুক, মারামারি করুক.. একসময় তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। এভাবেই তারা অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আমাদের নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জাতীয় জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসব। 

তিনি বলে,‘অটিজম কোনো রোগ নয়। কোনো দোষে এটা হয় না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। তাদের সবার মতো সমভাবে দেখতে হবে। তারাও আমাদের সন্তান। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আমরা সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।’

অটিজম আক্রান্ত শিশুর সেবায় গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলে, ‘অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চেয়ে আলাদা। এদের মধ্যে মৃদু মাত্রা ছাড়া অন্যান্য মাত্রার শিশু ও ব্যক্তির জন্য জীবনচক্রের প্রতিটি ধাপে প্রয়োজন থেরাপি ও চিকিৎসা সেবা। অন্যের সাহায্য ছাড়া এদের জীবন প্রায় অচল। সে কারণে দক্ষ, পেশাজীবী ও দক্ষ কেয়ার গিভার তৈরি মাতা-পিতা বা অভিভাবক, শিক্ষক সকলকেই গুণগতমানের সেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানায়, অটিস্টিক শিশুদের জন্য সরকার ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজীকরণ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কি না তা জানা যাবে। এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় এ বছরই ১৪টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘অটিজম ও এনডিডি সেবাকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। 

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলে, জাতির পিতা প্রথম অনগ্রসর ব্যক্তিদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম সংবিধানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে দেশের ৪৭টি সাধারণ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।

শেখ হাসিনা জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করে। ২০০৪ সালে নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই ট্রাস্ট থেকে ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০১ জনকে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।  নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা চালু করেছে।

সরকার প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ণ করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী বিশেষ স্কুল স্থাপন ও অনুমোদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সারাদেশে ৭৪টি বিশেষ বিদ্যালয় সরকারি অনুদানে পরিচালিত হচ্ছে। 

এনডিডি ব্যক্তিদের জীবনচক্রব্যাপী বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ণ করা হয়েছে। এর আলোকে প্রথম পর্যায়ে ১৪টি অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব কেন্দ্র আরও বাড়ানো হবে। 

ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ২০১০ সালে একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু করা হয়েছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্যাডিয়েট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ