০১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

খুলনা পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ, অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / ৪২৮৪ বার দেখা হয়েছে

এইচ কে জনি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা পাওয়ারের একটি বিদ্যুৎপ্ল্যান্টের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। অপর আরেকটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। আর মেয়াদপূর্তি সাপেক্ষে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ করতে কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ খাতের কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি নবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে খোদ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু এ বিষয়ে বিপিডিবি বা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত আসে নি। এমতাবস্থায় কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা একধরনের অনিশ্চয়তায় ভোগছেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোন কারণে যদি পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর চুক্তি নবায়ন না হয়, তবে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। বিঘ্নিত হবে শেয়ারবাজারের চলমান গতিবিধি। আর সরকারের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর পুনরায় পিপিএ নবায়ন করা হলে ওই কোম্পানিগুলো কার্যক্রম বন্ধ হবে না। এতে কোম্পানিসহ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রেহাই পাবে। সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক হবে।

আরও পড়ুন: কি আছে খুলনা পাওয়ারের বিনিয়োগকারীদের ভাগ্যে!

জানা গেছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দুটি কেন্দ্রের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির কেপিসি ইউনিট-২ ১১৫ মেগাওয়াট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্লান্টের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ যথাক্রমে ৩১ মে ২০২১ এবং ২৮ মে ২১ এ শেষ হতে চলেছে।

বিপিডিবির নির্দেশনা ইস্যুতে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তি

এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চিঠির মাধ্যমে কেপিসি ইউনিট ১১৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্টকে যথাক্রমে পহেলা জুন ২০২১ এবং ২৯ মে ২১ জুন থেকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানি জানায়, তবুও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পিপিএ নবায়নের চেষ্টা করছে তারা।

এসব প্ল্যান্টের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে খুলনা পাওয়ারের কোম্পানি সচিব আরিফুল ইসলাম চৌধুরীর ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ারের ২ বিদ্যুৎকেন্দ্র

এদিকে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের কাছে প্রস্তাব পাঠায় বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: ডেসকো, পাওয়ার গ্রিড, বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার কোম্পানি লিমিডেট।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তেমন গুরুত্ব মেলেনি। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে আলোচনা করেন।

ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে শেয়াররবাজারে জ্বালানি খাতের ১০টি কোম্পানি থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। যদিও কেপিসিএলের একটি পাওয়ারপ্ল্যান্টের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের কাছে বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এসব কোম্পানিতে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন দুটি কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ইউনিট-২ ও খানজাহান আলী পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে সরকার বা বিউবোর পিপিএ বাড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। যার মেয়াদ পর্যায়ক্রমে চলতি বছরের ৩১ মে এবং ২৮ মে তারিখে শেষ হবে। এ পরিস্থিতিতে খুলনা পাওয়ার কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ লভ্যাংশ থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরত আসেনি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কমিশন উদ্বিগ্ন। তাই খুলনা পাওয়ারসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির পিপিএ চুক্তি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নবায়নের সুযোগ রয়েছে কি না, তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পিপিএ নবায়নের বিষয়ে বিএসইসি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছে। কোম্পানিগুলোর পিপিএ নবায়ন করা সম্ভব হলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কমিশন সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। তবে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের বিপরীতে তিনি নতুন কোন তথ্য জানাতে পারেন নি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা

শেয়ার করুন

x
English Version

খুলনা পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ, অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ১০:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১

এইচ কে জনি: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা পাওয়ারের একটি বিদ্যুৎপ্ল্যান্টের মেয়াদ আজ শেষ হয়েছে। অপর আরেকটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। আর মেয়াদপূর্তি সাপেক্ষে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ করতে কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ খাতের কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি নবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে খোদ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কিন্তু এ বিষয়ে বিপিডিবি বা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত আসে নি। এমতাবস্থায় কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা একধরনের অনিশ্চয়তায় ভোগছেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোন কারণে যদি পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর চুক্তি নবায়ন না হয়, তবে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। বিঘ্নিত হবে শেয়ারবাজারের চলমান গতিবিধি। আর সরকারের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর পুনরায় পিপিএ নবায়ন করা হলে ওই কোম্পানিগুলো কার্যক্রম বন্ধ হবে না। এতে কোম্পানিসহ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রেহাই পাবে। সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক হবে।

আরও পড়ুন: কি আছে খুলনা পাওয়ারের বিনিয়োগকারীদের ভাগ্যে!

জানা গেছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দুটি কেন্দ্রের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির কেপিসি ইউনিট-২ ১১৫ মেগাওয়াট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্লান্টের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ যথাক্রমে ৩১ মে ২০২১ এবং ২৮ মে ২১ এ শেষ হতে চলেছে।

বিপিডিবির নির্দেশনা ইস্যুতে কেপিসিএলের পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তি

এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চিঠির মাধ্যমে কেপিসি ইউনিট ১১৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্টকে যথাক্রমে পহেলা জুন ২০২১ এবং ২৯ মে ২১ জুন থেকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানি জানায়, তবুও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পিপিএ নবায়নের চেষ্টা করছে তারা।

এসব প্ল্যান্টের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে খুলনা পাওয়ারের কোম্পানি সচিব আরিফুল ইসলাম চৌধুরীর ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ারের ২ বিদ্যুৎকেন্দ্র

এদিকে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের কাছে প্রস্তাব পাঠায় বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে: ডেসকো, পাওয়ার গ্রিড, বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার কোম্পানি লিমিডেট।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তেমন গুরুত্ব মেলেনি। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে আলোচনা করেন।

ওই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে শেয়াররবাজারে জ্বালানি খাতের ১০টি কোম্পানি থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। যদিও কেপিসিএলের একটি পাওয়ারপ্ল্যান্টের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের কাছে বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এসব কোম্পানিতে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন দুটি কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ইউনিট-২ ও খানজাহান আলী পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে সরকার বা বিউবোর পিপিএ বাড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। যার মেয়াদ পর্যায়ক্রমে চলতি বছরের ৩১ মে এবং ২৮ মে তারিখে শেষ হবে। এ পরিস্থিতিতে খুলনা পাওয়ার কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ লভ্যাংশ থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরত আসেনি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কমিশন উদ্বিগ্ন। তাই খুলনা পাওয়ারসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির পিপিএ চুক্তি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নবায়নের সুযোগ রয়েছে কি না, তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পিপিএ নবায়নের বিষয়ে বিএসইসি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছে। কোম্পানিগুলোর পিপিএ নবায়ন করা সম্ভব হলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পাবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কমিশন সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। তবে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের বিপরীতে তিনি নতুন কোন তথ্য জানাতে পারেন নি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা