০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে বাড়ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড সীমা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • / ৪৭৭৯ বার দেখা হয়েছে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এখন থেকে ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে আলোচনা হয়েছে । এছাড়া তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ লভ্যাংশের সাথে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসাথে কাজ করার অংশ হিসাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন , বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারত। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল। তবে আজকের আলোচনার মাধ্যমে সেটা আরো ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ কত হবে সেটা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে সে বিষয়ে  সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে।

উল্লেখ, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই এর লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে উঠে।

পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিএসইসির সাথে আলোচনা করে নেওয়ার একটি নির্দেশনা থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ওই কোনো আলোচনা-ই করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএসইসি বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানালে তার প্রেক্ষিতে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার (১৫ মার্চ) বিএসইসিতে আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজনেসজার্নাল/এইচজে

শেয়ার করুন

x
English Version

অবশেষে বাড়ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড সীমা

আপডেট: ০৩:২৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো এখন থেকে ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে আলোচনা হয়েছে । এছাড়া তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ লভ্যাংশের সাথে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসাথে কাজ করার অংশ হিসাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন , বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারত। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল। তবে আজকের আলোচনার মাধ্যমে সেটা আরো ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। ৩৫ শতাংশের মধ্যে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ কত হবে সেটা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে সে বিষয়ে  সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে।

উল্লেখ, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই এর লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে উঠে।

পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিএসইসির সাথে আলোচনা করে নেওয়ার একটি নির্দেশনা থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ওই কোনো আলোচনা-ই করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএসইসি বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানালে তার প্রেক্ষিতে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার (১৫ মার্চ) বিএসইসিতে আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজনেসজার্নাল/এইচজে