০৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ফেরার লড়াই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৩৩ বার দেখা হয়েছে

BANGALORE, INDIA - MARCH 21 : Adam Zampa of Australia celebrates the wicket of Shuvagata Hom Chowdhury of Bangladesh during the ICC World Twenty20 India 2016 match between Australia and Bangladesh at the Chinnaswamy stadium on March 21, 2016 in Mumbai, India. (Photo by Pal Pillai/IDI via Getty Images)

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে সুবিধা করতে না পারলেও ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ভারত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গত ১০ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ না পাওয়া দলটি আজ (৬ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ানরাও চাইবে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সিরিজে টিকে থাকতে।

ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে অস্ট্রেলিয়াকে গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ১১ রানে পরাজিত করেছিল ভারত। রবিন্দ্র জাদেজার ২৩ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস, থাঙ্গারাসু নটরজানের মারাত্বক ইয়র্কার, যুবেন্দ্র চাহালের যাদুকারী স্পিনের সুবাদে এই জয় পেয়েছিল তাঁরা। যদিও ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া জাজেদাকে আর পুরো সিরিজেই পাচ্ছে না ভারত। তাঁর বদলি হিসেবে ইতিমধ্যেই ভরতের স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন সার্দুল ঠাকুর।

প্রথম ম্যাচে সেরা একাদশে না থাকলেও মাথায় আঘাত পাওয়া জাদেজার কানকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন চাহাল। মূলত তাঁর এবং জাদেজার পারফরম্যান্সের কাছেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অভিষিক্ত নটরজানের সঙ্গে এই লেগি ৩টি করে উইকেট শিকার করে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামান। তাই এই দুজনের বোলিংয়েই আবারও অস্ট্রেলিয়া বধের ছক কষবে কোহরির দল।

বোলিংয়ে এই দুজন ভারতের মূল অস্ত্র হলেও টপ অর্ডারের কাছে আরো রান প্রত্যাশা করবে তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে প্রথম ওয়ানডতে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো শিখর ধাওয়ানের কাছে ভালো শুরুর আশা করবে দলটি। ধাওয়ানের ওপেনিং সঙ্গি লোকেশ রাহুল দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও অধিনায়ক কোহলি ভালো শুরুর পরেও ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না। কোহলি স্বরূপে ফিরলে ব্যাটিং অর্ডারের দুর্বলতা অনেকটাই ঢাকা পড়ে যাবে ভারতের।

অন্যদিকে এ্যাডম জাম্পার লেগ স্পিনের বিপক্ষে অনেক দুর্বলতা দেখা গিয়েছে মনিষ পান্ডের। রানের চেয়ে বল বেশি খরচ করায় দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর একাদশে থাকা নিয়ে তাই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পান্ডের সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ারের তেমন তফাত না থাকলেও দুইজনের একজনকেই খেলানোর সম্ভাবনা বেশি। শুরুর দিকে টপ অর্ডাররা যদি ভালো শুরু এনে দিতে পারেন তবে শেষ ৫-৬ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া ঝড় সামলানো বেশ কঠিন হয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ানদের বোলারদের জন্য।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাটিতে খেললেও দলে ইনজুরি সমস্যা বেশ ভাবাচ্ছে তাদের। দ্বিতীয় ওয়ানডতে গোড়ালির চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েছিলেন দলটির অন্যতম ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ রান করা অধিনায়ক ফিঞ্চও পুরোপুরি ফিট নয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে তাই তাকে পাওয়া নিয়ে বেশ সন্দেহ জেগেছে। তার পরিবর্তে দলে অধিনায়কত্বের ভার কে সামলাবেন তা এখনো নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। গত ম্যাচে ৯ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। নটরজানের বলে ২ রানে আউট হলেও তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকরা।

বোলিংয়ে মিচেল স্টার্ক প্রথম ম্যাচে ব্রেক থ্রু এনে দিলেও বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে জস হ্যাজেলউডও ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকেছেন। তবে মইসেস হ্যানরিকস দীর্ঘ ৩ বছর পর পুরো ৪ ওভারের স্পেল পূরণ করে ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। যদিও লেগ স্পিনার মিচেল সুইপসন গত ম্যাচে ২ ওভারে ২২ রান দেয়ায় তার বদলি হিসেবে টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার নাথান লায়নকে সেরা একাদশে দেখা যেতে পারে।

২ বছর আগে এই সিডিনিতেই ১৬৫ রানের রেকর্ড সংখ্যক রান তাড়া করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। গত ১৯ মাসে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ না হারা দলটির সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ানদের। যদিও টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফরম্যান্স করে এই ম্যাচ দিয়েই নিঃসন্দেহে সিরিজে সমাতে ফেরাতে চাইবে তারা।

শেয়ার করুন

x
English Version

অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ফেরার লড়াই

আপডেট: ১২:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে সুবিধা করতে না পারলেও ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ভারত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গত ১০ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ না পাওয়া দলটি আজ (৬ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইবে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ানরাও চাইবে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সিরিজে টিকে থাকতে।

ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে অস্ট্রেলিয়াকে গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ১১ রানে পরাজিত করেছিল ভারত। রবিন্দ্র জাদেজার ২৩ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও ইনিংস, থাঙ্গারাসু নটরজানের মারাত্বক ইয়র্কার, যুবেন্দ্র চাহালের যাদুকারী স্পিনের সুবাদে এই জয় পেয়েছিল তাঁরা। যদিও ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া জাজেদাকে আর পুরো সিরিজেই পাচ্ছে না ভারত। তাঁর বদলি হিসেবে ইতিমধ্যেই ভরতের স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন সার্দুল ঠাকুর।

প্রথম ম্যাচে সেরা একাদশে না থাকলেও মাথায় আঘাত পাওয়া জাদেজার কানকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন চাহাল। মূলত তাঁর এবং জাদেজার পারফরম্যান্সের কাছেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অভিষিক্ত নটরজানের সঙ্গে এই লেগি ৩টি করে উইকেট শিকার করে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে ধ্বস নামান। তাই এই দুজনের বোলিংয়েই আবারও অস্ট্রেলিয়া বধের ছক কষবে কোহরির দল।

বোলিংয়ে এই দুজন ভারতের মূল অস্ত্র হলেও টপ অর্ডারের কাছে আরো রান প্রত্যাশা করবে তাদের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে প্রথম ওয়ানডতে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো শিখর ধাওয়ানের কাছে ভালো শুরুর আশা করবে দলটি। ধাওয়ানের ওপেনিং সঙ্গি লোকেশ রাহুল দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও অধিনায়ক কোহলি ভালো শুরুর পরেও ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না। কোহলি স্বরূপে ফিরলে ব্যাটিং অর্ডারের দুর্বলতা অনেকটাই ঢাকা পড়ে যাবে ভারতের।

অন্যদিকে এ্যাডম জাম্পার লেগ স্পিনের বিপক্ষে অনেক দুর্বলতা দেখা গিয়েছে মনিষ পান্ডের। রানের চেয়ে বল বেশি খরচ করায় দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর একাদশে থাকা নিয়ে তাই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পান্ডের সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ারের তেমন তফাত না থাকলেও দুইজনের একজনকেই খেলানোর সম্ভাবনা বেশি। শুরুর দিকে টপ অর্ডাররা যদি ভালো শুরু এনে দিতে পারেন তবে শেষ ৫-৬ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া ঝড় সামলানো বেশ কঠিন হয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ানদের বোলারদের জন্য।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাটিতে খেললেও দলে ইনজুরি সমস্যা বেশ ভাবাচ্ছে তাদের। দ্বিতীয় ওয়ানডতে গোড়ালির চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েছিলেন দলটির অন্যতম ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ রান করা অধিনায়ক ফিঞ্চও পুরোপুরি ফিট নয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে তাই তাকে পাওয়া নিয়ে বেশ সন্দেহ জেগেছে। তার পরিবর্তে দলে অধিনায়কত্বের ভার কে সামলাবেন তা এখনো নিশ্চিত করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। গত ম্যাচে ৯ বলে ১২ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। নটরজানের বলে ২ রানে আউট হলেও তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকরা।

বোলিংয়ে মিচেল স্টার্ক প্রথম ম্যাচে ব্রেক থ্রু এনে দিলেও বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে জস হ্যাজেলউডও ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকেছেন। তবে মইসেস হ্যানরিকস দীর্ঘ ৩ বছর পর পুরো ৪ ওভারের স্পেল পূরণ করে ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। যদিও লেগ স্পিনার মিচেল সুইপসন গত ম্যাচে ২ ওভারে ২২ রান দেয়ায় তার বদলি হিসেবে টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার নাথান লায়নকে সেরা একাদশে দেখা যেতে পারে।

২ বছর আগে এই সিডিনিতেই ১৬৫ রানের রেকর্ড সংখ্যক রান তাড়া করে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সমতা ফিরিয়েছিল ভারত। গত ১৯ মাসে একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি সিরিজ না হারা দলটির সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে অস্ট্রেলিয়ানদের। যদিও টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফরম্যান্স করে এই ম্যাচ দিয়েই নিঃসন্দেহে সিরিজে সমাতে ফেরাতে চাইবে তারা।