০৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

অস্থির বাজারে ডিম ও মুরগির দামে স্বস্তি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৭১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে এক রকম অস্থিরতা চলছে। দাম বাড়ার সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে সংকটও। তবে কয়েকটি পণ্যে স্বস্তির খবরও আছে। উড়তে থাকা ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দামের তলানিতে নেমেছে কাঁচামরিচ। গত কয়েক বছর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা পেঁয়াজের দামও কমেছে।

গত রবি ও সোমবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় এবং সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। সপ্তাহ খানেক আগেও ব্রয়লারের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ এবং সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত কয়েক মাস ডিমের দামে ত্যক্তবিরক্ত ছিলেন ভোক্তারা। এবার সুখবর দিয়েছে পণ্যটি। দাম কমে বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

তেজকুনিপাড়া এলাকার ডিম বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, পাঁচ-ছয় দিন ধরে ডিমের দাম কম। তিন দিন আগে ডজন ১১৫ টাকায় নেমেছিল। তবে এখন আবার পাঁচ টাকা বেড়েছে। ফলে ১২০ টাকায় ডজন বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে দাম আগের জায়গায় চলে যাবে বলে পাইকাররা জানিয়েছেন।

মাস তিনেক আগে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা পার হয়েছিল। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তখন ভারত থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর পর দেশের কৃষকরা মাঠ থেকে মরিচ তোলা শুরু করেন। বাজারেও সরবরাহ বাড়তে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে দাম কমে এখন তলানিতে নেমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজারে ‘মরিচের কেজি ২৫ টাকা, পানির দরে কাঁচা মরিচ’ বলে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গেছে বিক্রেতা মো. মুকবুলকে।

আরও পড়ুন: শয়নকক্ষে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

চার বছর ধরে বছরের এই সময়ে পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটতে দেখা গেছে দেশে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বেড়ে কোনো বছর ৩০০ টাকা ছোঁয় পেঁয়াজের দাম। গত বছরও এ সময়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। কিন্তু এখন স্বস্তি আছে পণ্যটির দামে। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাজারে পেঁয়াজের কলিও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তিন-চার মাস ধরে আলুর দাম ৩০ টাকার আশপাশে ঘুরছে। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম কমে এখন নেমেছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। এদিকে বাজারে ছোট নতুন আলু দেখা গেছে। এ ধরনের আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

অস্থির বাজারে ডিম ও মুরগির দামে স্বস্তি

আপডেট: ০১:০৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কয়েক মাস ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে এক রকম অস্থিরতা চলছে। দাম বাড়ার সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে সংকটও। তবে কয়েকটি পণ্যে স্বস্তির খবরও আছে। উড়তে থাকা ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দামের তলানিতে নেমেছে কাঁচামরিচ। গত কয়েক বছর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় থাকা পেঁয়াজের দামও কমেছে।

গত রবি ও সোমবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকায় এবং সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। সপ্তাহ খানেক আগেও ব্রয়লারের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ এবং সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত কয়েক মাস ডিমের দামে ত্যক্তবিরক্ত ছিলেন ভোক্তারা। এবার সুখবর দিয়েছে পণ্যটি। দাম কমে বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

তেজকুনিপাড়া এলাকার ডিম বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, পাঁচ-ছয় দিন ধরে ডিমের দাম কম। তিন দিন আগে ডজন ১১৫ টাকায় নেমেছিল। তবে এখন আবার পাঁচ টাকা বেড়েছে। ফলে ১২০ টাকায় ডজন বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে দাম আগের জায়গায় চলে যাবে বলে পাইকাররা জানিয়েছেন।

মাস তিনেক আগে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা পার হয়েছিল। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তখন ভারত থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর পর দেশের কৃষকরা মাঠ থেকে মরিচ তোলা শুরু করেন। বাজারেও সরবরাহ বাড়তে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে দাম কমে এখন তলানিতে নেমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজারে ‘মরিচের কেজি ২৫ টাকা, পানির দরে কাঁচা মরিচ’ বলে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গেছে বিক্রেতা মো. মুকবুলকে।

আরও পড়ুন: শয়নকক্ষে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

চার বছর ধরে বছরের এই সময়ে পেঁয়াজ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটতে দেখা গেছে দেশে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বেড়ে কোনো বছর ৩০০ টাকা ছোঁয় পেঁয়াজের দাম। গত বছরও এ সময়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। কিন্তু এখন স্বস্তি আছে পণ্যটির দামে। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাজারে পেঁয়াজের কলিও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তিন-চার মাস ধরে আলুর দাম ৩০ টাকার আশপাশে ঘুরছে। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম কমে এখন নেমেছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। এদিকে বাজারে ছোট নতুন আলু দেখা গেছে। এ ধরনের আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা/এসএ