০৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

অ্যাংকর সিকিউরিটিজে গ্রাহকদের অর্থ নয়-ছয় হার্ডলাইনে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৪২৪ বার দেখা হয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ব্রোকার হাউজ অ্যাংকর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের অর্থ নয়ছয়ে কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় ধরনের শাস্তিও দিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এক বিনিয়োগকারীর টাকার অন্য বিনিয়োগকারীকে দেওয়াসহ নিয়মবহির্ভূত অনিয়মের চিত্র উঠে আসে ডিএসইর পরিদর্শনের টিমের তদন্ত প্রতিবেদনে। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ২০২০ এবং বিএসইসির ২২ মার্চ ২০২২ এর লঙ্ঘন। এ আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় ধরনের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির তথ্য মতে, গত বুধবার (৫এপ্রিল) পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে ডিএসইর পরিদর্শন টিম তদন্ত করতে অ্যাংকর সিকিউরিটিজে যায়। এসময় পরিদর্শন টিম প্রমাণ পায় যে, পুঁজিবাজারে কর্মরত কিছু ট্রেকহোল্ডারের অনিয়মের কারণে গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কনসুলেটেড কাস্টমারর্স অ্যাকাউন্ট (সিসিএ হিসাব) বা গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের হিসাব তহবিলে ঘাটতি রয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৮ টাকা।

এরপর গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ডিএসই থেকে এ্যাংকর সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ছয় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে কোনো ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি থাকলে, প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব হলো স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি স্টক এক্সচেঞ্জকে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাতে সিকিউটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ২০২০ এর ৬ ১ ও ৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে।

শুধু তাই নয়, গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি করে প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসির ২০২২ মার্চের ডিরেক্টিভস লঙ্ঘন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এ কার্যকলাপের ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি হয়েছে এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে মর্মে কমিশনের নিটক প্রতীয়মান হয়েছে।

ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিদ্যামান সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২০ এর ক্ষমতাবলে ডিএসই ছয় ধরনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

শাস্তিগুলো হচ্ছে:-

  • ডিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর রেগুলেশন ৩ এর অধীনে প্রাপ্য ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত করেছে। এতো দিন কোনো ব্রোকার হাউজ কোনো ডিপোজিট ছাড়াই ১০ কোটি টাকা লেনদেন করতে পারত। এখন ওই ফ্রি লিমিট স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ব্রোকার হাউজকে প্রথম ৩ কোটির জন্য ৬০ লাখ করে ডিএসইতে জমা রাখতে হবে।
  • ব্রোকার হাউজ হিসেবে যোগ্য বিনিয়োগকারীর হিসেবে আইপিও/ আরপিও এবং কোয়ালিফাইড ইনভেস্টসর অফারে আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এখন আর নতুনে কোম্পানির আইপিও, আরপিও এবং কিউআইওতে আবেদন করতে পারবে না।
  • সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত করা হয়েছে।
  • নতুন শাখা অথবা ট্রেকহোল্ডার ডিজিটাল বুধ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে না।
  • সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ সিকিউরটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ উক্ত ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিতে বিশেষ তদারকি করে। প্রতিমাসে দুইবার গ্রাহক হিসাবের রক্ষিত সিকিউরিটিজ পরীক্ষা করবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবে।
  • ব্রোকার হাউজের ওপর সততা ও বিশ্বস্ততার ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র মূলধন বেড়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা

উল্লেখ্য, ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকার হাউজে দুই প্রকার বিনিয়োগকারী ব্রোকার হাউজে লেনদেন করেন। এর প্রকার বিনিয়োগকারী হলো শুধু নিজের টাকায় লেনদেন করে। আরেক প্রকার হলো- মার্জিনাল ক্লাইন্ট বা ঋণ নিয়ে লেনদেন করেন। ব্রোকার হাউজ এ বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেয়।

এ ব্রোকার হাউজে প্রথম প্রকার বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঘাটতি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা আছে। সে হিসেবে তিনি ১০ লাখ টাকার শেয়ার কিনতে পারবেন। কিন্তু তার বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্রোকার হাউজ থেকে ১২ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এ টাকা কোথা থেকে আসে। এর অর্থ হলো এখানে ঘাটতি ২ লাখ, অর্থাৎ নগদ টাকা লেনদেনে করে ঘাটতি রয়েছে। যা কখনো ব্রোকার হাউজ কর্তৃপক্ষ করতে পারে না। এরকম অনেক ঘাটতি রয়েছে ব্রোকার হাউজ থেকে। এভাবেই কিছু বিনিয়োগকারীকে বিও হিসাবে টাকা না থাকার পরও শেয়ার কিনে দিয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

অ্যাংকর সিকিউরিটিজে গ্রাহকদের অর্থ নয়-ছয় হার্ডলাইনে বিএসইসি

আপডেট: ০৩:২৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ব্রোকার হাউজ অ্যাংকর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের অর্থ নয়ছয়ে কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় ধরনের শাস্তিও দিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এক বিনিয়োগকারীর টাকার অন্য বিনিয়োগকারীকে দেওয়াসহ নিয়মবহির্ভূত অনিয়মের চিত্র উঠে আসে ডিএসইর পরিদর্শনের টিমের তদন্ত প্রতিবেদনে। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ২০২০ এবং বিএসইসির ২২ মার্চ ২০২২ এর লঙ্ঘন। এ আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় ধরনের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির তথ্য মতে, গত বুধবার (৫এপ্রিল) পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে ডিএসইর পরিদর্শন টিম তদন্ত করতে অ্যাংকর সিকিউরিটিজে যায়। এসময় পরিদর্শন টিম প্রমাণ পায় যে, পুঁজিবাজারে কর্মরত কিছু ট্রেকহোল্ডারের অনিয়মের কারণে গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির কনসুলেটেড কাস্টমারর্স অ্যাকাউন্ট (সিসিএ হিসাব) বা গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের হিসাব তহবিলে ঘাটতি রয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৮ টাকা।

এরপর গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ডিএসই থেকে এ্যাংকর সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ছয় ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে কোনো ব্রোকারেজ হাউজে গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি থাকলে, প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব হলো স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি স্টক এক্সচেঞ্জকে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাতে সিকিউটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ২০২০ এর ৬ ১ ও ৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে।

শুধু তাই নয়, গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি করে প্রতিষ্ঠানটি বিএসইসির ২০২২ মার্চের ডিরেক্টিভস লঙ্ঘন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এ কার্যকলাপের ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি হয়েছে এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে মর্মে কমিশনের নিটক প্রতীয়মান হয়েছে।

ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিদ্যামান সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২০ এর ক্ষমতাবলে ডিএসই ছয় ধরনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

শাস্তিগুলো হচ্ছে:-

  • ডিএসই রেগুলেশনস, ২০১৩ এর রেগুলেশন ৩ এর অধীনে প্রাপ্য ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত করেছে। এতো দিন কোনো ব্রোকার হাউজ কোনো ডিপোজিট ছাড়াই ১০ কোটি টাকা লেনদেন করতে পারত। এখন ওই ফ্রি লিমিট স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ব্রোকার হাউজকে প্রথম ৩ কোটির জন্য ৬০ লাখ করে ডিএসইতে জমা রাখতে হবে।
  • ব্রোকার হাউজ হিসেবে যোগ্য বিনিয়োগকারীর হিসেবে আইপিও/ আরপিও এবং কোয়ালিফাইড ইনভেস্টসর অফারে আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এখন আর নতুনে কোম্পানির আইপিও, আরপিও এবং কিউআইওতে আবেদন করতে পারবে না।
  • সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত করা হয়েছে।
  • নতুন শাখা অথবা ট্রেকহোল্ডার ডিজিটাল বুধ খোলার সুবিধা স্থগিত থাকবে না।
  • সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ সিকিউরটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ উক্ত ট্রেক হোল্ডার কোম্পানিতে বিশেষ তদারকি করে। প্রতিমাসে দুইবার গ্রাহক হিসাবের রক্ষিত সিকিউরিটিজ পরীক্ষা করবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবে।
  • ব্রোকার হাউজের ওপর সততা ও বিশ্বস্ততার ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিএসই’র মূলধন বেড়েছে ৫৪৫ কোটি টাকা

উল্লেখ্য, ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকার হাউজে দুই প্রকার বিনিয়োগকারী ব্রোকার হাউজে লেনদেন করেন। এর প্রকার বিনিয়োগকারী হলো শুধু নিজের টাকায় লেনদেন করে। আরেক প্রকার হলো- মার্জিনাল ক্লাইন্ট বা ঋণ নিয়ে লেনদেন করেন। ব্রোকার হাউজ এ বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেয়।

এ ব্রোকার হাউজে প্রথম প্রকার বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবহৃত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঘাটতি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা আছে। সে হিসেবে তিনি ১০ লাখ টাকার শেয়ার কিনতে পারবেন। কিন্তু তার বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্রোকার হাউজ থেকে ১২ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এ টাকা কোথা থেকে আসে। এর অর্থ হলো এখানে ঘাটতি ২ লাখ, অর্থাৎ নগদ টাকা লেনদেনে করে ঘাটতি রয়েছে। যা কখনো ব্রোকার হাউজ কর্তৃপক্ষ করতে পারে না। এরকম অনেক ঘাটতি রয়েছে ব্রোকার হাউজ থেকে। এভাবেই কিছু বিনিয়োগকারীকে বিও হিসাবে টাকা না থাকার পরও শেয়ার কিনে দিয়েছে।

ঢাকা/এসএ