০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

আয় বাড়াতে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ১০৩২১ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বহির্ভূত আয়ের ক্ষেত্রে তিন অর্থবছর ধরে বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা দিলেও তা বাস্তবায়নে প্রবৃদ্ধি হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের দুর্বল অবস্থার কারণে তা অনেকটা লক্ষ্যমাত্রানির্ভর রয়েছে। বাস্তবে একাধিক বছর ধরেই এনবিআরবহির্ভূত কর আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্ধেকের কম অর্জিত হচ্ছে। করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ও বেশ পিছিয়ে আছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা না বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে কেবল আয় বাড়াতে জোর দেবে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির কারণে সরকারের রাজস্ব আয় চাপে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরবহির্ভূত কর আয় ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রার তেমন হেরফের হচ্ছে না।

চলতি অর্থবছরের মতো একই লক্ষ্যমাত্রা দিতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের কর আয় বাড়াতে শক্ত অবস্থান নিতে যাচ্ছে সরকার। এমনকি এনবিআর কর আহরণে অনেক পিছিয়ে থাকার পরও চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে আগামী দিনে রাজস্ব আয় করার পরিকল্পনা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে সরকার মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে এনবিআরবহির্ভূত কর আয় ২০ হাজার কোটি টাকা ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয় ৫০ হাজার কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। এ হিসাব অনুযায়ী, এনবিআরবহির্ভূত সরকারের রাজস্ব আয় ৭০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হবে।

চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পরে সংশোধিত বাজেটে তা দুই হাজার কোটি টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৯ হাজার কোটি ও ৪৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৩১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা এনবিআরবহির্ভূত আয় হয়েছে, যা যথাক্রমে চার হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা ও ২৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রণোদনা ৩ শতাংশ বাড়ানোর ‍সুপারিশ

তবে এর আগের অর্থবছরে ৬৩ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

এদিকে শুধু এনবিআরবহির্ভূত কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছিল। ধারাবাহিকভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে তা ২০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে গত পাঁচ অর্থবছর ধরে এই আয় বার্ষিক ছয় হাজার কোটি থেকে আট হাজার কোটি টাকার মধ্যে হয়েছে। করবহির্ভূত আয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গত অর্থবছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা এবং এর আগের অর্থবছরে ১৭ হাজার ২২০ কোটি টাকা পিছিয়ে ছিল। বর্তমানে দেশে করবহির্ভূত রাজস্ব আয় প্রায় ১১ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।

জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে এক লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, আয়কর এক লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং শুল্ক এক লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়োছিল চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ২৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এই সময়ে আয় হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দুই মাসে আয় করতে হবে এক লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমের ওপর এক উপস্থাপনায় এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, উন্নত দেশ হতে হলে নিজস্ব রাজস্ব অর্থায়ন বাড়াতে হবে। এখন মোট রাজস্ব আয়ের ৮৬ শতাংশ এনবিআর আয় করছে। এনবিআরবার্হিভূত কর থেকে আয় মাত্র ৪ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ আসছে করবহির্ভূত আয় থেকে। তাঁর মতে, এনবিআরের রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেটে যখন রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়, তখন অসহায় এনবিআর। মন্ত্রণালয় আগের বছরের অর্জন হিসাবের ওপর ভিত্তি না করে কেবল লক্ষ্যমাত্রা থেকে পরের বছরে নতুন লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রাজস্ব বাড়াতে অন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা বা চিন্তার সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে অটোমেশন করতে হবে। এ জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের পরিকল্পনা এনবিআরের আছে। পাশাপাশি অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় হলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র ফেলো মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজস্ব বাজেটে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর ফলে দিন যত যাবে, আমাদের পরনির্ভরশীলতা তত বাড়বে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হলে ঋণের সুদহার অনেক বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত না বাড়ালে বড় রকমের সমস্যা সৃষ্টি হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এনবিআরবহির্ভূত আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই। এই প্রক্রিয়া এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে করলে আরো জোরদার হবে। অটোমেশন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চত হলে অনেক আয় বাড়বে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

আয় বাড়াতে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার

আপডেট: ০১:২৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বহির্ভূত আয়ের ক্ষেত্রে তিন অর্থবছর ধরে বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা দিলেও তা বাস্তবায়নে প্রবৃদ্ধি হয়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের দুর্বল অবস্থার কারণে তা অনেকটা লক্ষ্যমাত্রানির্ভর রয়েছে। বাস্তবে একাধিক বছর ধরেই এনবিআরবহির্ভূত কর আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্ধেকের কম অর্জিত হচ্ছে। করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ও বেশ পিছিয়ে আছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা না বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে কেবল আয় বাড়াতে জোর দেবে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতির কারণে সরকারের রাজস্ব আয় চাপে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরবহির্ভূত কর আয় ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রার তেমন হেরফের হচ্ছে না।

চলতি অর্থবছরের মতো একই লক্ষ্যমাত্রা দিতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের কর আয় বাড়াতে শক্ত অবস্থান নিতে যাচ্ছে সরকার। এমনকি এনবিআর কর আহরণে অনেক পিছিয়ে থাকার পরও চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে আগামী দিনে রাজস্ব আয় করার পরিকল্পনা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে সরকার মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে এনবিআরবহির্ভূত কর আয় ২০ হাজার কোটি টাকা ও করবহির্ভূত রাজস্ব আয় ৫০ হাজার কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। এ হিসাব অনুযায়ী, এনবিআরবহির্ভূত সরকারের রাজস্ব আয় ৭০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হবে।

চলতি অর্থবছরেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। পরে সংশোধিত বাজেটে তা দুই হাজার কোটি টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৯ হাজার কোটি ও ৪৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৩১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা এনবিআরবহির্ভূত আয় হয়েছে, যা যথাক্রমে চার হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা ও ২৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স প্রণোদনা ৩ শতাংশ বাড়ানোর ‍সুপারিশ

তবে এর আগের অর্থবছরে ৬৩ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

এদিকে শুধু এনবিআরবহির্ভূত কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছিল। ধারাবাহিকভাবে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে তা ২০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে গত পাঁচ অর্থবছর ধরে এই আয় বার্ষিক ছয় হাজার কোটি থেকে আট হাজার কোটি টাকার মধ্যে হয়েছে। করবহির্ভূত আয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গত অর্থবছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা এবং এর আগের অর্থবছরে ১৭ হাজার ২২০ কোটি টাকা পিছিয়ে ছিল। বর্তমানে দেশে করবহির্ভূত রাজস্ব আয় প্রায় ১১ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।

জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে এক লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, আয়কর এক লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং শুল্ক এক লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়োছিল চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ২৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এই সময়ে আয় হয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দুই মাসে আয় করতে হবে এক লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।

রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমের ওপর এক উপস্থাপনায় এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, উন্নত দেশ হতে হলে নিজস্ব রাজস্ব অর্থায়ন বাড়াতে হবে। এখন মোট রাজস্ব আয়ের ৮৬ শতাংশ এনবিআর আয় করছে। এনবিআরবার্হিভূত কর থেকে আয় মাত্র ৪ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ আসছে করবহির্ভূত আয় থেকে। তাঁর মতে, এনবিআরের রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেটে যখন রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়, তখন অসহায় এনবিআর। মন্ত্রণালয় আগের বছরের অর্জন হিসাবের ওপর ভিত্তি না করে কেবল লক্ষ্যমাত্রা থেকে পরের বছরে নতুন লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রাজস্ব বাড়াতে অন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা বা চিন্তার সুযোগ থাকে না।

তিনি বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে অটোমেশন করতে হবে। এ জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের পরিকল্পনা এনবিআরের আছে। পাশাপাশি অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় হলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়বে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র ফেলো মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজস্ব বাজেটে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর ফলে দিন যত যাবে, আমাদের পরনির্ভরশীলতা তত বাড়বে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হলে ঋণের সুদহার অনেক বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত না বাড়ালে বড় রকমের সমস্যা সৃষ্টি হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এনবিআরবহির্ভূত আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই। এই প্রক্রিয়া এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে করলে আরো জোরদার হবে। অটোমেশন হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চত হলে অনেক আয় বাড়বে।

ঢাকা/এসএইচ