০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য বেড়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • / ৪৩৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য বেড়েছে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ৩০ শতাংশ কমিয়ে ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়িয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করে বিএসইসি।

জানা গেছে, এখন থেকে নতুন আইপিওতে আসা কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার থাকবে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আসা কোম্পানির ২০ শতাংশ থাকবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আর ১০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

অন্যদিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে সেই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৭০ শতাংশ শেয়ার। অর্থাৎ বুকবিল্ডিংয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোটা থাকবে না।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য যে কোটা ছিল, সেটির মেয়াদ না বাড়ানোর পর সেই কোটার সুবিধা এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোটা। তবে এই ৭০ শতাংশের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারী কত আর প্রবাসী বিনিয়োগকারী কত, সেটি এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।

এর আগ পর্যন্ত আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ছিল ৫০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেতেন ৩০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তরা পেতেন ১০ শতাংশ আর প্রবাসীদের জন্য ছিল ১০ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ৫০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্তকে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে বেশি শেয়ার থাকলে বাজারে চাহিদা তৈরি হয়। এর ফলে আইপিও শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যেত। আর নানা সময় দেখা গেছে, আইপিওতে আসা শেয়ারের দাম বেড়ে পরে ধস নামে এবং এতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন।

তাদের মতে, এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি বেশি আগ্রহী হবেন। কারন এর আগে আসা বেশির ভাগ আইপিও শেয়ার দর কয়েক গুণ হয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগে মুনাফা তুলে নিয়েছেন। কিন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শর্ত পরিপালন করে আইপিওতে আবেদন করতে হচ্ছে। এছাড়া আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেয়ায় তারা সেকেন্ডারি মাকেটে বিনিয়োগে ততটা আগ্রহী নয়। কিন্তু আইপিও ব্যবসা করেই বছরের আয় তুলে নিতেন। এখন কোটা কম হওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারবন্ধব হতে উৎসাহিত করবে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য বেড়েছে

আপডেট: ১০:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য বেড়েছে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ৩০ শতাংশ কমিয়ে ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়িয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করে বিএসইসি।

জানা গেছে, এখন থেকে নতুন আইপিওতে আসা কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার থাকবে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আসা কোম্পানির ২০ শতাংশ থাকবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আর ১০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

অন্যদিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে সেই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৭০ শতাংশ শেয়ার। অর্থাৎ বুকবিল্ডিংয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোটা থাকবে না।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য যে কোটা ছিল, সেটির মেয়াদ না বাড়ানোর পর সেই কোটার সুবিধা এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কোটা। তবে এই ৭০ শতাংশের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারী কত আর প্রবাসী বিনিয়োগকারী কত, সেটি এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।

এর আগ পর্যন্ত আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ছিল ৫০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেতেন ৩০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তরা পেতেন ১০ শতাংশ আর প্রবাসীদের জন্য ছিল ১০ শতাংশ।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কোটা ৫০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্তকে পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে বেশি শেয়ার থাকলে বাজারে চাহিদা তৈরি হয়। এর ফলে আইপিও শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যেত। আর নানা সময় দেখা গেছে, আইপিওতে আসা শেয়ারের দাম বেড়ে পরে ধস নামে এবং এতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন।

তাদের মতে, এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি বেশি আগ্রহী হবেন। কারন এর আগে আসা বেশির ভাগ আইপিও শেয়ার দর কয়েক গুণ হয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগে মুনাফা তুলে নিয়েছেন। কিন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শর্ত পরিপালন করে আইপিওতে আবেদন করতে হচ্ছে। এছাড়া আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেয়ায় তারা সেকেন্ডারি মাকেটে বিনিয়োগে ততটা আগ্রহী নয়। কিন্তু আইপিও ব্যবসা করেই বছরের আয় তুলে নিতেন। এখন কোটা কম হওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারবন্ধব হতে উৎসাহিত করবে।

ঢাকা/এসআর