১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটিতে নিরীক্ষকের উদ্বেগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪২০৩ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন লোকসানে দিয়ে চলছে। দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে ব্যাংকটির। বর্তমানে ব্যাংকটির নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা একদিকে লোকসান অন্যদিকে নেগেটিভ ইক্যুইটি সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগের ৮৪.৩৪ শতাংশ খেলাপি। এতে ব্যাংকটির নিরীক্ষক উদ্বেগ জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ সময় নেগেটিভ ইক্যুয়িটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রতিবেদন অনুয়ায়ী ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগের ৮৪.৩৪ শতাংশ খেলাপি। এসব কারণে কোম্পানিটি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। এমন মন্দা পরিস্থিতিতির কারণে কোম্পানির নিরীক্ষক উদ্বেগ জানিয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, ব্যাংকটির বর্তমান মন্দা পরিস্থিতির মাধ্যমে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। আর তাতে ব্যাংকটির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে আর্থিক প্রতিবদনে নোট দিয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

আরও পড়ুন: পদ্মা অয়েল অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে হস্তান্তর করেনি

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই মন্দায় ডুবে আছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে।

ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ২ হাজার ৩০০ টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে আছে ৫২.৭৬ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৫.৪৬ শতাংশ শেয়ার। কোম্পনির শেয়ার সর্বশেষ ৫.৪০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটিতে নিরীক্ষকের উদ্বেগ

আপডেট: ০৭:০৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন লোকসানে দিয়ে চলছে। দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে ব্যাংকটির। বর্তমানে ব্যাংকটির নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা একদিকে লোকসান অন্যদিকে নেগেটিভ ইক্যুইটি সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগের ৮৪.৩৪ শতাংশ খেলাপি। এতে ব্যাংকটির নিরীক্ষক উদ্বেগ জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ সময় নেগেটিভ ইক্যুয়িটির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রতিবেদন অনুয়ায়ী ব্যাংকটির মোট বিনিয়োগের ৮৪.৩৪ শতাংশ খেলাপি। এসব কারণে কোম্পানিটি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। এমন মন্দা পরিস্থিতিতির কারণে কোম্পানির নিরীক্ষক উদ্বেগ জানিয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, ব্যাংকটির বর্তমান মন্দা পরিস্থিতির মাধ্যমে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। আর তাতে ব্যাংকটির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয়ে আর্থিক প্রতিবদনে নোট দিয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

আরও পড়ুন: পদ্মা অয়েল অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে হস্তান্তর করেনি

আইসিবি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই মন্দায় ডুবে আছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে।

ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৬৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ২ হাজার ৩০০ টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তাদের কাছে আছে ৫২.৭৬ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২৫.৪৬ শতাংশ শেয়ার। কোম্পনির শেয়ার সর্বশেষ ৫.৪০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ