০৮:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১৩৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ- ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার পথ ধরেই গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষি অন্তপ্রাণ। সদ্যস্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। জাতির পিতা গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে যে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও পদক্ষেপে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ফল, সবজির উৎপাদন অনেক গুণ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে উৎপাদিত মাছ এবং মাংস উৎপাদনে দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিপণ্যে রফতানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষিকে লাভজনক করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এ সব উদ্যোগ দেশের কৃষি উৎপাদনকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের ১০০ বছরের কৃষি উন্নয়ন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর দুপুর থেকে সেখানে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধিসহ দেশ-বিদেশের কৃষিবিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিজ্ঞানী, কৃষি অর্থনীতিবিদরা অংশ নেবেন।

এদিকে, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে অবহিতকরণের জন্য মোবাইলে সচেতনতামূলক খুদেবার্তা পাঠানো, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১-এর প্রতিপাদ্য তাৎপর্য পোস্টার/বিলবোর্ড/ভিডিও/মেসেজ/ডকুমেন্টেশনে প্রচার করা হবে।

পাশাপাশি ‘কৃষিকথা’ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযথভাবে দিবসটি উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x
English Version

আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস

আপডেট: ০৯:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ- ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতার পথ ধরেই গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষি অন্তপ্রাণ। সদ্যস্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। জাতির পিতা গ্রামীণ ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে যে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও পদক্ষেপে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ফল, সবজির উৎপাদন অনেক গুণ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে উৎপাদিত মাছ এবং মাংস উৎপাদনে দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিপণ্যে রফতানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষিকে লাভজনক করতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এ সব উদ্যোগ দেশের কৃষি উৎপাদনকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের ১০০ বছরের কৃষি উন্নয়ন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর দুপুর থেকে সেখানে একটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধিসহ দেশ-বিদেশের কৃষিবিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিজ্ঞানী, কৃষি অর্থনীতিবিদরা অংশ নেবেন।

এদিকে, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে অবহিতকরণের জন্য মোবাইলে সচেতনতামূলক খুদেবার্তা পাঠানো, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১-এর প্রতিপাদ্য তাৎপর্য পোস্টার/বিলবোর্ড/ভিডিও/মেসেজ/ডকুমেন্টেশনে প্রচার করা হবে।

পাশাপাশি ‘কৃষিকথা’ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযথভাবে দিবসটি উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা/এমটি