১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করলে কারখানা বন্ধের হুমকি বিজিএমইএর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৯৫ বার দেখা হয়েছে

তৈরি পোশাক খাতে সর্বনিম্ন মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কারখানায় কোনো বিশৃঙ্খলা ও শ্রমিকের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

গত কিছুদিন ধরে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) উত্তরায় বিজিএমইএ’র নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক শ্রমিক ও সরকারের অংশীজনেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নাই। তারপরও যদি এই ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে মালিকপক্ষ জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে বহিরাগতদের উসকানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করছে। ফলে অনেক বাধ্য হচ্ছে কারখানা বন্ধ করে দিতে।’

আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলেও ঘাটতি হয়নি: অর্থমন্ত্রী

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনাদের অবদানের কারণে তৈরি পোশাকশিল্প এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়। তারা তৈরি পোশাক শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আপনারা কর্মসংস্থান হারাবেন।’

কারখানা মালিকেরা দেশের অর্থনীতি ও পোশাক শিল্প সচল রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমি মালিকদের জানাতে চাই, দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষার স্বার্থে যদি কোনো কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করে, তাহলে আপনারা কারখানা বন্ধ করে দিতে পারেন।’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রম আইনের এই ধারায় কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার বিধান নেই।’

ঢাকা/এসএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করলে কারখানা বন্ধের হুমকি বিজিএমইএর

আপডেট: ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

তৈরি পোশাক খাতে সর্বনিম্ন মজুরির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে কারখানায় কোনো বিশৃঙ্খলা ও শ্রমিকের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

গত কিছুদিন ধরে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) উত্তরায় বিজিএমইএ’র নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক শ্রমিক ও সরকারের অংশীজনেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নাই। তারপরও যদি এই ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে মালিকপক্ষ জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে বহিরাগতদের উসকানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করছে। ফলে অনেক বাধ্য হচ্ছে কারখানা বন্ধ করে দিতে।’

আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলেও ঘাটতি হয়নি: অর্থমন্ত্রী

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনাদের অবদানের কারণে তৈরি পোশাকশিল্প এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়। তারা তৈরি পোশাক শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আপনারা কর্মসংস্থান হারাবেন।’

কারখানা মালিকেরা দেশের অর্থনীতি ও পোশাক শিল্প সচল রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমি মালিকদের জানাতে চাই, দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষার স্বার্থে যদি কোনো কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করে, তাহলে আপনারা কারখানা বন্ধ করে দিতে পারেন।’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রম আইনের এই ধারায় কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার বিধান নেই।’

ঢাকা/এসএ