১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

আয়ু বাড়াতে দৈনিক যে পরিমান হাঁটবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪১৩৯ বার দেখা হয়েছে

হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, ফিট থাকার জন্য কত পদক্ষেপ হাঁটতে হবে তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে ৩,৯৬৭ ধাপ হাঁটা স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি। এতে হৃদরোগ সম্পর্কিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে। তাই প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ ধাপ হাঁটার চেষ্টা করুন। ৪,০০০ ধাপ প্রায় ৩ কিলোমিটারের সমান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডায়াবেটিস স্পেশালিটিস ডাঃ মোহনের মতে, ‘হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট কোন পদক্ষেপ নেই। যত হাঁটা যায় ততই ভাল। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪,০০০ থেকে ৭,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার চেষ্টা করুন। একজন অলস ব্যক্তিরও দিনে ২,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত’।

ডঃ মোহন পরামর্শ দেন, ‘তরুণদের প্রতিদিন হাঁটার পদক্ষেপ বাড়ানো উচিত। প্রায় ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিশেষ করে, সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটি কেবল আপনাকে ফিট রাখবে না। আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস ও বিপি নিয়ন্ত্রণ করবে। হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি হার্টের সমস্যাও দূর করবে’।

ডাঃ মোহন সুপারিশ করেছেন যে, হাঁটার পদক্ষেপের সংখ্যার জন্য কোনো সীমা নেই। কারণ অনেক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ পদক্ষেপও হাঁটেন। এ সব মানুষদের মতে, তারা নাকি ক্লান্ত বোধ করেন না। অন্যদিকে, বয়স্ক ব্যক্তি এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটা বেশ কঠিন হতে পারে। তাই ডাঃ মোহন শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের ফিটনেস রুটিন বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ডাঃ মোহনের মতে,  ‘হাঁটার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সকালে হাঁটতে পছন্দ করেন। কারণ তখন বাতাস কম দূষিত থাকে। আবার, অনেকে রাতের খাবারের পরে হাঁটতে পছন্দ করেন। তাদের মতে, এটি তাদের হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন হাঁটার জন্য কিছুটা সময় বের করুন।

আরও পড়ুন: সারাদেশে ডেঙ্গুতে নয় মৃত্যু

হাঁটতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডাঃ মোহন সুপারিশ করেন যে, শ্রবণ সমস্যাযুক্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা ট্র্যাফিকের শব্দ শুনতে সক্ষম নাও হতে পারেন। দৃষ্টিশক্তিও দুর্বল হতে পারে। তাই তাদের দিনের আলোতে হাঁটা উচিত। হাঁটার সময় স্থিতিশীল না থাকতে পারলে অবশ্যই লাঠির ব্যবহার করুন। ভারী খাবার খাওয়ার পর না হাঁটাই ভাল। এতে বুকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার আগে পাঁচ মিনিটের জন্য ওয়ার্ম-আপ করা ভাল। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা হাঁটতে যাওয়ার আগে হালকা কিছু খেয়ে যান। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জীবনকে উন্নত করতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

আয়ু বাড়াতে দৈনিক যে পরিমান হাঁটবেন

আপডেট: ০৫:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, ফিট থাকার জন্য কত পদক্ষেপ হাঁটতে হবে তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে ৩,৯৬৭ ধাপ হাঁটা স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি। এতে হৃদরোগ সম্পর্কিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে। তাই প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ ধাপ হাঁটার চেষ্টা করুন। ৪,০০০ ধাপ প্রায় ৩ কিলোমিটারের সমান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডায়াবেটিস স্পেশালিটিস ডাঃ মোহনের মতে, ‘হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট কোন পদক্ষেপ নেই। যত হাঁটা যায় ততই ভাল। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪,০০০ থেকে ৭,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার চেষ্টা করুন। একজন অলস ব্যক্তিরও দিনে ২,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত’।

ডঃ মোহন পরামর্শ দেন, ‘তরুণদের প্রতিদিন হাঁটার পদক্ষেপ বাড়ানো উচিত। প্রায় ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিশেষ করে, সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটি কেবল আপনাকে ফিট রাখবে না। আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস ও বিপি নিয়ন্ত্রণ করবে। হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি হার্টের সমস্যাও দূর করবে’।

ডাঃ মোহন সুপারিশ করেছেন যে, হাঁটার পদক্ষেপের সংখ্যার জন্য কোনো সীমা নেই। কারণ অনেক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ পদক্ষেপও হাঁটেন। এ সব মানুষদের মতে, তারা নাকি ক্লান্ত বোধ করেন না। অন্যদিকে, বয়স্ক ব্যক্তি এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটা বেশ কঠিন হতে পারে। তাই ডাঃ মোহন শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের ফিটনেস রুটিন বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ডাঃ মোহনের মতে,  ‘হাঁটার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সকালে হাঁটতে পছন্দ করেন। কারণ তখন বাতাস কম দূষিত থাকে। আবার, অনেকে রাতের খাবারের পরে হাঁটতে পছন্দ করেন। তাদের মতে, এটি তাদের হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন হাঁটার জন্য কিছুটা সময় বের করুন।

আরও পড়ুন: সারাদেশে ডেঙ্গুতে নয় মৃত্যু

হাঁটতে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডাঃ মোহন সুপারিশ করেন যে, শ্রবণ সমস্যাযুক্ত বয়স্ক ব্যক্তিরা ট্র্যাফিকের শব্দ শুনতে সক্ষম নাও হতে পারেন। দৃষ্টিশক্তিও দুর্বল হতে পারে। তাই তাদের দিনের আলোতে হাঁটা উচিত। হাঁটার সময় স্থিতিশীল না থাকতে পারলে অবশ্যই লাঠির ব্যবহার করুন। ভারী খাবার খাওয়ার পর না হাঁটাই ভাল। এতে বুকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার আগে পাঁচ মিনিটের জন্য ওয়ার্ম-আপ করা ভাল। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা হাঁটতে যাওয়ার আগে হালকা কিছু খেয়ে যান। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জীবনকে উন্নত করতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ঢাকা/এসএম