০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

আরও ৯২ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুল্ক কমানোর পর দ্বিতীয় দফায় আরও তিন লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২১ আগস্ট) এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় খেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল তিন লাখ ৫৮ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট প্রথম দফায় ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার টন নন বাসমতী সিদ্ধ ও আতপ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাতকরণ করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভর বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজি প্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। চিকন চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা।

এই প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এই সুবিধা বহাল থাকবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

কমানো শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।

এর আগে গত বছর চালের দাম বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে ও আমদানি উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয়, যার মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

আরও ৯২ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

আপডেট: ০৩:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শুল্ক কমানোর পর দ্বিতীয় দফায় আরও তিন লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২১ আগস্ট) এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় খেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল তিন লাখ ৫৮ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট প্রথম দফায় ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার টন নন বাসমতী সিদ্ধ ও আতপ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাতকরণ করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভর বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজি প্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। চিকন চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা।

এই প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এই সুবিধা বহাল থাকবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

কমানো শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।

এর আগে গত বছর চালের দাম বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে ও আমদানি উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয়, যার মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: