০৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

আরপিও সংশোধনে ইসির চিঠির জবাব দিল আইন মন্ত্রণালয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: তিন দফায় চিঠি দেওয়ার পর অবশেষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া মাত্র তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন তিনবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া না পাওয়ায় ওই দিন শেষবারের মতো চিঠি দিয়েছেন। একই সঙ্গে আরপিও সংশোধনে তার কমিশনের দেওয়ার প্রস্তাবের ওপর সরকারের অবস্থান জানাতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। ওই চিঠি দেওয়ার দুই দিনের মাথায় অবশেষ জবাব দিল মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আরপিও- এর সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ নীতি-নির্ধারণী বিষয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিদ্যমান আরপি-এর বিধানসমূহের সঙ্গে ওই প্রস্তাবসমূহ সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না সে বিষয়সহ সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এবং অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামোং দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহ বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনসহ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের নিমিত্তে যাবতীয় কার্যক্রম লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উপর ন্যস্ত।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সর্বদা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন হতে আরপিও-সহ নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য যে সব আইন, বিধি, প্রবিধি, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি নতুনভাবে প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে সেসব প্রস্তাবসমূহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছে।

আরও পড়ুন: ডিআরইউ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

আরপিও-এর প্রস্তাবিত সংশোধনসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া মাত্রই বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইসির পাঠানো রোববারের শেষ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের কাছে আরপিও-এর কতিপয় সংশোধন/সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ৮ আগস্ট লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় প্রেরিত খসড়া বিলের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা বা সাধিত অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত না হওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে জরুরি পত্র দ্বারা অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপরও ওই বিষয়ে  নির্বাচন কমিশনকে অবহিত না করায় পরবর্তীতে গত ১০ অক্টোবর ওই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। তা সত্ত্বেও ওই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে এখন পর্যন্ত অবহিত করা হয়নি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

আরপিও সংশোধনে ইসির চিঠির জবাব দিল আইন মন্ত্রণালয়

আপডেট: ১২:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: তিন দফায় চিঠি দেওয়ার পর অবশেষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া মাত্র তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন তিনবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া না পাওয়ায় ওই দিন শেষবারের মতো চিঠি দিয়েছেন। একই সঙ্গে আরপিও সংশোধনে তার কমিশনের দেওয়ার প্রস্তাবের ওপর সরকারের অবস্থান জানাতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। ওই চিঠি দেওয়ার দুই দিনের মাথায় অবশেষ জবাব দিল মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আরপিও- এর সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ নীতি-নির্ধারণী বিষয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিদ্যমান আরপি-এর বিধানসমূহের সঙ্গে ওই প্রস্তাবসমূহ সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না সে বিষয়সহ সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এবং অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামোং দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহ বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনসহ জাতীয় সংসদে উত্থাপনের নিমিত্তে যাবতীয় কার্যক্রম লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উপর ন্যস্ত।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সর্বদা সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন হতে আরপিও-সহ নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য যে সব আইন, বিধি, প্রবিধি, প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি নতুনভাবে প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে সেসব প্রস্তাবসমূহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছে।

আরও পড়ুন: ডিআরইউ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

আরপিও-এর প্রস্তাবিত সংশোধনসমূহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া মাত্রই বিল আকারে প্রস্তুতপূর্বক নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইসির পাঠানো রোববারের শেষ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের কাছে আরপিও-এর কতিপয় সংশোধন/সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ৮ আগস্ট লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় প্রেরিত খসড়া বিলের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা বা সাধিত অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত না হওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে জরুরি পত্র দ্বারা অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপরও ওই বিষয়ে  নির্বাচন কমিশনকে অবহিত না করায় পরবর্তীতে গত ১০ অক্টোবর ওই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। তা সত্ত্বেও ওই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে এখন পর্যন্ত অবহিত করা হয়নি।

ঢাকা/এসএ