০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
অগ্রাধিকার পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনসহ ১০টি বিষয়

আসছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪১৭৫ বার দেখা হয়েছে

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে অনেক ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচনমূলক নীতির পথে হাঁটছে সরকার। কারণ বেশ কিছুদিন ধরেই চাপে রয়েছে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ইতোমধ্যেই সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার বাড়ছে খুব সামান্য। চলতি বাজেটের তুলনায় বাড়ছে মাত্র ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগামী বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছিল ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

মুলত, বিশ্ব অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট কিছুটা সংকোচনমূলক করা হবে। একই সঙ্গে বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাসহ ১০টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন বাজেট চূড়ান্ত করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে এসব অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেটের রূপরেখা উপস্থাপন করেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা। এ জন্য বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রাখা হবে। একই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের রাজস্বনীতিতেও ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সার্বিকভাবে আগামী বাজেট হবে কিছুটা সংকোচনমূলক।

আগামী বাজেটের অন্যান্য অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে– প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিতে কৃষি, কৃষক-কিষানি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ ও সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ-সাশ্রয়ী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিগত উদ্ভাবনী শক্তির উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকরণ, সেচ ও উন্নত বীজ নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় না এলে দূর্বল ব্যাংককে বাধ্যতামূলক একীভূত করা হবে

গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় ইতোমধ্যে চলতি হিসাবে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদহার বেশি হওয়ার পাশাপাশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণ নিচ্ছে না। এতে নতুন ঋণের পরিবর্তে কিস্তি পরিশোধই বেশি হচ্ছে। তা ছাড়া একই কারণে বিদেশি বিনিয়োগেও গতি আসছে না। তাই খুব শিগগির আর্থিক হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার আশা করা যাচ্ছে না।

যেমন হচ্ছে আগামী বাজেট:
চলতি বাজেটের তুলনায় মাত্র ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেটের একটি রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট দেওয়া হয়েছিল। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। বাকি ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে। এ ছাড় বেশ কয়েক মাস মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকলেও আগামী অর্থবছরে গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখতে চায় সরকার। একই সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেয় সরকার। তবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চলতি বাজেট বাস্তবায়নের শুরুতেই টাকা খরচের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ওপর কয়েকটি বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। এসবের প্রভাবে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট বাজেটের মাত্র ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় প্রায় ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছর সংশোধিত বাজেটে ব্যয় কমানো হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর

শেয়ার করুন

x
English Version

অগ্রাধিকার পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনসহ ১০টি বিষয়

আসছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট

আপডেট: ১০:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে অনেক ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচনমূলক নীতির পথে হাঁটছে সরকার। কারণ বেশ কিছুদিন ধরেই চাপে রয়েছে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ইতোমধ্যেই সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের আকার বাড়ছে খুব সামান্য। চলতি বাজেটের তুলনায় বাড়ছে মাত্র ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগামী বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছিল ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

মুলত, বিশ্ব অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট কিছুটা সংকোচনমূলক করা হবে। একই সঙ্গে বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাসহ ১০টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন বাজেট চূড়ান্ত করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে এসব অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেটের রূপরেখা উপস্থাপন করেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা। এ জন্য বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রাখা হবে। একই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের রাজস্বনীতিতেও ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সার্বিকভাবে আগামী বাজেট হবে কিছুটা সংকোচনমূলক।

আগামী বাজেটের অন্যান্য অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে– প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিতে কৃষি, কৃষক-কিষানি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ ও সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ-সাশ্রয়ী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিগত উদ্ভাবনী শক্তির উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকরণ, সেচ ও উন্নত বীজ নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় না এলে দূর্বল ব্যাংককে বাধ্যতামূলক একীভূত করা হবে

গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় ইতোমধ্যে চলতি হিসাবে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুদহার বেশি হওয়ার পাশাপাশি টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণ নিচ্ছে না। এতে নতুন ঋণের পরিবর্তে কিস্তি পরিশোধই বেশি হচ্ছে। তা ছাড়া একই কারণে বিদেশি বিনিয়োগেও গতি আসছে না। তাই খুব শিগগির আর্থিক হিসাবে ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার আশা করা যাচ্ছে না।

যেমন হচ্ছে আগামী বাজেট:
চলতি বাজেটের তুলনায় মাত্র ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেটের একটি রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট দেওয়া হয়েছিল। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাজেট ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। বাকি ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য উৎস থেকে ঋণ নেওয়া হবে। এ ছাড় বেশ কয়েক মাস মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকলেও আগামী অর্থবছরে গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখতে চায় সরকার। একই সঙ্গে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেয় সরকার। তবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় চলতি বাজেট বাস্তবায়নের শুরুতেই টাকা খরচের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ওপর কয়েকটি বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। এসবের প্রভাবে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট বাজেটের মাত্র ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় প্রায় ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছর সংশোধিত বাজেটে ব্যয় কমানো হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর