০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

আস্থা সঙ্কটে কমছে বাজার মূলধন, বাড়ছে লোকসান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের চলমান সঙ্কট উত্তোরনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগ নিলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।

যার ধারাবাহিকতায় তিন দিন সূচকের পতন আর দুদিন উত্থানের মধ্য দিয়ে মার্চের আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আলোচ্য সময়ে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স পয়েন্ট হারিয়েছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেন কমেছে, দর হারিয়েছে অধিকাংশ সিকিউরিটিজও। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দেয় বিএসইসি। এছাড়া ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরামর্শ ও পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। বিনিয়োগ বাড়াতে সম্প্রতি ৬১টি ব্যাংককে চিঠিও দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেনি তাদের তহবিল গঠন করে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে যারা এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠন করেছে তাদের নির্ধারিত সীমা অনুসারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এসব উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা কমাতে পারছে না। এজন্য বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। যার প্রভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে আইএফআইসি ব্যাংক, রেনাটা লিমিটেড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, পূবালী ব্যাংক, রবি, বিএসআরএম লিমিটেড ও জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৫৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় আড়াই পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৫৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে এ সময়ে দৈনিক লেনদেন কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৭৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৯৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক লেনদেন কমেছে ১৯১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। ১২ শতাংশ নিয়ে লেনদেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। পরের অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে থাকা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল ৮ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এরপর রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত। খাতটিতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এছাড়া ভ্রমণ খাতে ২ দশমিক ৯, মিউচুয়াল ফান্ডে ২ দশমিক ৪ ও বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ৯ শতাংশ করে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে ইতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল পেপার খাত। খাতটিতে রিটার্ন এসেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ৪ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে চামড়া খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির। কমেছে ২৬৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির। লেনদেন হয়নি সাতটির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সামান্য বেড়ে ১৯ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ২৩৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।

ঢাকা/এসআর

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

আস্থা সঙ্কটে কমছে বাজার মূলধন, বাড়ছে লোকসান

আপডেট: ১২:১৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের চলমান সঙ্কট উত্তোরনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগ নিলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।

যার ধারাবাহিকতায় তিন দিন সূচকের পতন আর দুদিন উত্থানের মধ্য দিয়ে মার্চের আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আলোচ্য সময়ে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স পয়েন্ট হারিয়েছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক লেনদেন কমেছে, দর হারিয়েছে অধিকাংশ সিকিউরিটিজও। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দেয় বিএসইসি। এছাড়া ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরামর্শ ও পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। বিনিয়োগ বাড়াতে সম্প্রতি ৬১টি ব্যাংককে চিঠিও দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করেনি তাদের তহবিল গঠন করে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে যারা এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠন করেছে তাদের নির্ধারিত সীমা অনুসারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এসব উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা কমাতে পারছে না। এজন্য বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। যার প্রভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৭৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে আইএফআইসি ব্যাংক, রেনাটা লিমিটেড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, পূবালী ব্যাংক, রবি, বিএসআরএম লিমিটেড ও জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৫৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় আড়াই পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৫৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৯০১ কোটি ১৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে এ সময়ে দৈনিক লেনদেন কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৭৮০ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৯৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক লেনদেন কমেছে ১৯১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১২ দশমিক ৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। ১২ শতাংশ নিয়ে লেনদেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। পরের অবস্থানে থাকা ব্যাংক খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে থাকা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের দখলে ছিল ৮ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এরপর রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত। খাতটিতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। এছাড়া ভ্রমণ খাতে ২ দশমিক ৯, মিউচুয়াল ফান্ডে ২ দশমিক ৪ ও বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ৯ শতাংশ করে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে ইতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল পেপার খাত। খাতটিতে রিটার্ন এসেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ৪ দশমিক ৯ শতাংশ নিয়ে তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে চামড়া খাত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টির। কমেছে ২৬৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির। লেনদেন হয়নি সাতটির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সামান্য বেড়ে ১৯ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৯ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ১৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ২৩৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।

ঢাকা/এসআর