০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ইউক্রেনে হামলা হতে পারে যেকোনো সময়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা ও ইউক্রেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনে খুব দ্রুত সময়ে হামলা চালাবে রাশিয়া। সেই আশঙ্কা থেকেই ডজনখানেক দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। খবর বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যুদ্ধ এড়াতে দীর্ঘ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরও বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে খুব তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করবে।

যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করা হয়, সেটি কোথা থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি পয়েন্টে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে, দুদেশের সীমান্তের অংশে ও বেলারুশের দক্ষিণে।

২০১৪ সালে রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে যুক্ত করে। এই দ্বীপ এখন ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, মস্কো ক্রিমিয়া থেকে আদৌ ইউক্রেনে হামলা করবে কি না, তবে সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করেছিল। এটি ইউক্রেনে হামলার আরও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আর হামলার শুরু হতে পারে আকাশপথে। সুলিভান আরো জানান, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে ফোনালাপ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এখনো তারা কূটনৈতিক পর্যায়ে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন সুলিভান।

এদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ইস্যুতে জল ঘোলা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা কিয়েভে হামলার পরিকল্পনার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা তৎপরতার কারণ জানতে চেয়েছে কিয়েভ। 

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

x

ইউক্রেনে হামলা হতে পারে যেকোনো সময়

আপডেট: ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা ও ইউক্রেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনে খুব দ্রুত সময়ে হামলা চালাবে রাশিয়া। সেই আশঙ্কা থেকেই ডজনখানেক দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। খবর বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

যুদ্ধ এড়াতে দীর্ঘ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরও বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে খুব তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করবে।

যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করা হয়, সেটি কোথা থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি পয়েন্টে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে, দুদেশের সীমান্তের অংশে ও বেলারুশের দক্ষিণে।

২০১৪ সালে রাশিয়া তাদের ভূখণ্ডে উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে যুক্ত করে। এই দ্বীপ এখন ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, মস্কো ক্রিমিয়া থেকে আদৌ ইউক্রেনে হামলা করবে কি না, তবে সম্ভাবনা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়াও শুরু করেছিল। এটি ইউক্রেনে হামলার আরও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। আর হামলার শুরু হতে পারে আকাশপথে। সুলিভান আরো জানান, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে ফোনালাপ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এখনো তারা কূটনৈতিক পর্যায়ে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেন সুলিভান।

এদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ইস্যুতে জল ঘোলা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা কিয়েভে হামলার পরিকল্পনার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা তৎপরতার কারণ জানতে চেয়েছে কিয়েভ। 

ঢাকা/এমআর