০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

ইউনাইটেড এয়ারের কারসাজি তদন্তে বিএসইসির কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরে অপেক্ষমান ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে তহবিল তাসরুপের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগ থাকায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার ‍নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) তদন্তের বিষয়ে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এখনও বিশেষ নিরীক্ষার বিষয়ে কোনো আদেশ জারি হয়েছে কিনা তা জনা যায়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া আগের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে কারসাজি করে ইচ্ছাকৃতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ২০১২-২১ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ বছেরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম বিএসইসির এসআরএমআইসি বিভাগ এবং নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার কার্যক্রম সিএফডি বিভাগ দেখভাল করবে।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সার্বিক বিষয়ের উপর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স নং xvii) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫নং আইন) এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হলো। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক শাহরিয়ার পারভেজ, উপ-পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন সদস্য এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজন সদস্য। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সরকারও জানতে চেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির আগের পরিচালনা পর্ষদ তহবিল তসরূপ বা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দেনা মওকুফের আবেদন জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। একইসঙ্গে কোম্পানিটির এ আবেদনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে বিএসইসি। কোম্পানিটির কাছে ওই পাওনা টাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। এ অবস্থায় কোম্পানিটি বন্ধ হওয়ার কারণ, বন্ধ হওয়ার পেছনে কারা জড়িত ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

তথ্য মতে, দীর্ঘদিন হতে বন্ধ থাকা এবং পরিত্যক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১ লক্ষ ৬০ হাজার প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকা সুরক্ষিত করার স্বার্থে এবং এয়ারলাইনটি পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে বিএসইসি কর্তৃক আট জন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। তবে কোম্পানিটির মূল মালিক ক্যাপ্টেন তাসারুল আহমেদ চৌধুরী বিদেশে পলাতক রয়েছেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৪ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই এয়ারলাইনটি পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং বেবিচকের সাথে আলোচনার জন্য ওই বছরের ১০ মার্চ পত্র প্রদান করেন। পরবর্তিতে ১৮ মে এয়ারলাইনটি পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে একখানা বাণিজ্যিক পরিকল্পনার প্রতিবেদন বেবিচক এ জমা প্রদান করা হয়। এ লক্ষ্যে নতুন পর্ষদে সঙ্গে বেবিচকের ১১ আগস্ট একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভার ২ ও ৩ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া পাওনা টাকার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানানো হয়।

বেবিচকের হিসাব অনুযায়ী বেবিচকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মোট পাওনা ৩৫৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫১ টাকা ৯৯ পয়সা। এর মধ্যে মূল পাওনা- ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা ১৩ পয়সা। বাদবাকি টাকার মধ্যে রয়েছে ভ্যাট- ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৫ টাকা, আয়কর- ২ লাখ ১২ হাজার ২০ টাকা ৬৯ পয়সা এবং সারচার্জ (বাৎসরিক ৭২ শতাংশ হারে)- ২৯২ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৩ টাকা ১৭ পয়সা।

এদিকে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া ও বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মূল মার্কেট থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। একইসঙ্গে গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এ ব্যর্থতার জন্য কোম্পানিটির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা দায়ী বলে মনে কমিশন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের বছরের ১২ জানুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন, কাজী ওয়াহিদ উল আলম, এম সাদিকুল ইসলাম, মাসকুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল।

আরও পড়ুন: ফ্লোর প্রাইস সংক্রান্ত গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান: শিবলী রুবাইয়াত

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ইউনাইটেড এয়ারের কারসাজি তদন্তে বিএসইসির কমিটি গঠন

আপডেট: ০২:০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরে অপেক্ষমান ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে তহবিল তাসরুপের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগ থাকায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার ‍নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) তদন্তের বিষয়ে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এখনও বিশেষ নিরীক্ষার বিষয়ে কোনো আদেশ জারি হয়েছে কিনা তা জনা যায়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া আগের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে কারসাজি করে ইচ্ছাকৃতভাবে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ২০১২-২১ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ বছেরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসির কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম বিএসইসির এসআরএমআইসি বিভাগ এবং নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষার কার্যক্রম সিএফডি বিভাগ দেখভাল করবে।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সার্বিক বিষয়ের উপর তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স নং xvii) এর ২১ ধারা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সালের ১৫নং আইন) এর ১৭ক ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হলো। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক শাহরিয়ার পারভেজ, উপ-পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন সদস্য এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজন সদস্য। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্বের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সরকারও জানতে চেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির আগের পরিচালনা পর্ষদ তহবিল তসরূপ বা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দেনা মওকুফের আবেদন জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। একইসঙ্গে কোম্পানিটির এ আবেদনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে বিএসইসি। কোম্পানিটির কাছে ওই পাওনা টাকা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। এ অবস্থায় কোম্পানিটি বন্ধ হওয়ার কারণ, বন্ধ হওয়ার পেছনে কারা জড়িত ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

তথ্য মতে, দীর্ঘদিন হতে বন্ধ থাকা এবং পরিত্যক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১ লক্ষ ৬০ হাজার প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকা সুরক্ষিত করার স্বার্থে এবং এয়ারলাইনটি পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে বিএসইসি কর্তৃক আট জন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। তবে কোম্পানিটির মূল মালিক ক্যাপ্টেন তাসারুল আহমেদ চৌধুরী বিদেশে পলাতক রয়েছেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৪ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই এয়ারলাইনটি পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং বেবিচকের সাথে আলোচনার জন্য ওই বছরের ১০ মার্চ পত্র প্রদান করেন। পরবর্তিতে ১৮ মে এয়ারলাইনটি পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে একখানা বাণিজ্যিক পরিকল্পনার প্রতিবেদন বেবিচক এ জমা প্রদান করা হয়। এ লক্ষ্যে নতুন পর্ষদে সঙ্গে বেবিচকের ১১ আগস্ট একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভার ২ ও ৩ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া পাওনা টাকার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানানো হয়।

বেবিচকের হিসাব অনুযায়ী বেবিচকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া মোট পাওনা ৩৫৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫১ টাকা ৯৯ পয়সা। এর মধ্যে মূল পাওনা- ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা ১৩ পয়সা। বাদবাকি টাকার মধ্যে রয়েছে ভ্যাট- ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৫ টাকা, আয়কর- ২ লাখ ১২ হাজার ২০ টাকা ৬৯ পয়সা এবং সারচার্জ (বাৎসরিক ৭২ শতাংশ হারে)- ২৯২ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৩ টাকা ১৭ পয়সা।

এদিকে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া ও বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মূল মার্কেট থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। একইসঙ্গে গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এ ব্যর্থতার জন্য কোম্পানিটির সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা দায়ী বলে মনে কমিশন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের বছরের ১২ জানুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন, কাজী ওয়াহিদ উল আলম, এম সাদিকুল ইসলাম, মাসকুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল।

আরও পড়ুন: ফ্লোর প্রাইস সংক্রান্ত গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান: শিবলী রুবাইয়াত

ঢাকা/টিএ