ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে আয়ারল্যান্ড
- আপডেট: ০৮:৩৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ৪১৮৬ বার দেখা হয়েছে
মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ১৫৫ রানের। জবাব দিতে নেমে সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি জাদুতে ১৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হার এড়াতে লড়ছে আয়ারল্যান্ড।
তবে এরপর শেষ বিকেলে ১০.৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন হ্যারি টেক্টর আর পিটার মুর। তারা মাত্র ১৪ রান যোগ করলেও উইকেট টিকিয়ে রেখেছেন। ৪ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে আইরিশরা। ইনিংস পরাজয় এড়াতে হলে আরও ১২৮ রান করতে হবে তাদের।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি দুই স্পিনারের তোপের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ বলটি সরাসরি আইরিশ ওপেনার জেমস ম্যাককলামের প্যাডে লাগে। কিন্তু আম্পায়ার আলিম দার সাকিবের আবেদনে সাড়া দেননি।
টাইগার অধিনায়ক এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে নিয়ে নেন রিভিউ। রিভিউতে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। শূন্যতে এলবিডব্লিউ হন ম্যাককলাম, ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা।
আইরিশদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৭ রানে। এবার তাইজুল ইসলামের বল প্যাডে লাগে মুরে কমিন্সের। আবেদন হলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। কমিন্স রিভিউ নিয়েছিলেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পের ওপরের অংশে লাগতো। আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় কমিন্সকে (১)। এরপর তাইজুল বোল্ড করেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে (৩)।
এরপর সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন কুর্তিস ক্যাম্ফার। ক্যাম্ফারের (১) ব্যাটে বলের হালকা ছোঁয়া লেগে সেটি চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে।
এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৮০.৩ ওভারে অলআউট হয়েছে ৩৬৯ রানে। দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মিরাজ। ৮০ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কা হাঁকান এই অলরাউন্ডার। আইরিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। ১১৮ রান দিয়ে এই অফস্পিনার একাই শিকার করেন ৬ উইকেট।
আরও পড়ুন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এমসিসির আজীবন সদস্য হলেন মাশরাফি
বাংলাদেশ বড় লিড পেয়েছে মূলত মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। ইনিংসটা বড় হচ্ছিল আস্তে আস্তে। তবে একটা সময় ধৈর্যচ্যুতি ঘটেই গেলো ডানহাতি এই ব্যাটারের। আইরিশ অফস্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅনে দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন মুশফিক।
১৬৬ বলে গড়া মুশফিকের ১২৬ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটিতে ছিল ১৫ বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কার মার। তিনটি জুটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে ১৫৯, লিটনের সঙ্গে ৮৭ আর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ৪৫ রান যোগ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ঢাকা/এসএ